সকল মেনু

ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা জামানত ছাড়াই ঋণ পাবেন—বাংলাদেশ ব্যাংক

 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা, ২ মার্চ :  জামানত ছাড়াই ঋণ পাবেন পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। সরকারের দেওয়া প্রণোদনা ৯০০ কোটি টাকার তহবিল থেকে জামানত ছাড়াই এ ঋণ দেওয়া হবে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ব্যাংকের কনফারেন্স হলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ সংস্থাদের সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গত বছরই এ তহবিলের প্রথম কিস্তির টাকা অর্থাৎ ৩০০ কোটি ছাড় করেছিলাম। কিন্তু ঋণগ্রহীতাদের হয়ে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ব্যক্তিগত জামানত দিতে অনীহা প্রকাশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা ঋণ নিতে পারছিলেন না। ফলে এই তহবিলের অর্থ ছাড়ের পরও ঋণ বিতরণ করতে পারেনি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এই অর্থ বিতরণের জন্য আইসিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এ তহবিলের ঋণ বিতরণের জন্য জামানতের দরকার নেই। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জামানত রাখার বিষয়টি শিথিলের জন্য চিঠি আশা করছি। খুব শিগগির বিষয়টির সুরাহা হবে এবং বিনিয়োগকারীরা জামানত ছাড়াই স্বল্প সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।

পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের নির্দেশনায় ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা এরই মধ্যে আইসিবিকে দেওয়া হয়। তবে এ ঋণ নিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়।

সুর চৌধুরী আরো বলেন, সম্প্রতি ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে প্রতিদিন কত টাকার লেনদেন করছে, তার তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু প্রতিদিন তথ্য দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিনের পরিবর্তে আলোচনা সাপেক্ষে সাত দিন অথবা ১৫ দিন পর এ তথ্য দেবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গত মঙ্গলবার জারি করা নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সাবসিডিয়ারির বিনিয়োগসহ মোট মূলধন এবং সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতির (এসএলআর) ৫০ শতাংশ। এ প্রজ্ঞাপন পরিপালন করা হলে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা বাড়বে বলেও জানান তিনি।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, জয়েন্ট স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিমা উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top