সকল মেনু

আগুনে পুড়লো হাজারো গাছ

কক্সবাজার, ১ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : কক্সবাজারের রামু গর্জনিয়ায় দুর্বৃত্বদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে সহস্র্রাধিক গাছ। এসময় আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো দুই সহস্র্রাধিক বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় গাছ। শনিবার ভোরে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গর্জনিয়া ইউনিয়নের থোয়াঙ্গীর কাটা এলাকায় ২০১১ সালে ৫ একর জমিতে প্রায় লক্ষাধিক গাছ রোপন করেছিল কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মামুন। এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণে রোপন করা এসব গাছের মধ্যে রয়েছে গামারী, মিনজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ।

কিন্তু কে বা কারা রাতের আধারে এ বাগানে আগুন লাগিয়ে দেয়। রাতে হঠাৎ আগুন জলতে দেখে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ভোর রাতে ৫/৬ জন অপরিচিত যুবক ওই এলাকায় ঘোরাগুরি করতে দেখা গেছে। হয়তো তারাই এ আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। কারণ এসব যুবকদের ওই এলাকায় এর আগে কখনো দেখা যায়নি।

বনায়নের মালিক ইব্রাহিম খলিল মামুন জানান, গর্জনিয়া এলাকাটি একসময় প্রাকৃতিক বনে সমৃদ্ধ ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কতিপয় অসাধু লোকজন বনের গাছ কেটে ফেলেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় প্রাকৃতিক বন নেই বললেই চলে। এতে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঠিক এ সময়ে এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণের কথা বিবেচনা করে নিজ উদ্যেগে গাছ রোপন শুরু করেন। তার এ বনায়ন দেখে শিক্ষিত যুবকরাও নিজ উদ্যেগে বনায়ন শুরু করে।

দুর্বৃত্বদের দেয়া আগুনে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবকেরও কয়েক’শ গাছ পুড়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহ-ই-আলম বলেন, “শুধু গর্জনিয়ায় নয়, কক্সবাজার জেলাব্যাপী প্রাকৃতিক বনের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই পরিবেশ এবং জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে কমে যাওয়া বনের সংখ্যা পূরণ করতে বন বিভাগ সামাজিক বনায়নের আওতায় বনায়ন করে যাচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি উদ্যোগে বনায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top