সকল মেনু

প্রত্যেক সাংবাদিকের যে ১০ টি সিনেমা অবশ্যই দেখা উচিত

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক, ২৮ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : সাংবাদিকতা একটি সৃজনশীল পেশা। সাংবাদিকদেরকে সব সময় নানান চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেছনে ফেলে একজন সাংবাদিক সত্যকে উদঘাটন করেন। এসব ঘাত প্রতিঘাত কিংবা চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করার জন্য প্রত্যেক সাংবাদিকের কিছু প্রাথমিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জিং জীবন নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এমন দশটি সিনেমা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। এ সিনেমাগুলো প্রত্যেক সাংবাদিকের দেখা আবশ্যক। ঘটনার পেছনের ঘটনাকে আবিষ্কার করার জন্য এ সিনেমাগুলো একজন সাংবাদিককে সহযোগিতা করবে।

১। সালভাডর

‘সালভাডর’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ১৯৮৬ সালে। বিশ্ববিখ্যাত ফিল্ম ডিরেক্টর ‘অলিভার স্টোন’ এ সিনেমাটি তৈরি করেছেন। এ সিনেমাটি দুইটি ক্ষেত্রে অস্কার পুরষ্কারের জন্য নমিনেশন পেয়েছিল। এ সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘জ্যামস উড’। মধ্য আমেরিকার ক্ষুদ্র দেশ ‘এল সালভাডর’ ছিল সামরিক স্বৈরশাসনের অধীন। ১৯৮০ সালে এ দেশটিতে গৃহযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ গৃহযুদ্ধের সময় সাংবাদিকদের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে এই সিনেমাটি তৈরি হয়েছে।

২। ব্লাড ডায়মন্ড

১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সিয়েরালিওনে গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধের সময় অবৈধ ডায়মন্ড ব্যবসা নিয়ে ভয়ংকর সব ঘটনা ঘটেছিল সিয়েরালিওনে। সিনেমাটিতে অবৈধ ডায়মন্ড ব্যবসার ভয়ংকর কাহিনীগুলো পৃথিবীর সামনে নিয়ে আসেন এক নারী সাংবাদিক। এ ঘটনাকে উন্মোচিত করার জন্য তাঁকে বহুবার জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে উপস্থিত হতে হয়েছিল। ২০০৬ সালে এ সিনেমাটি মুক্তি পায়।

৩। স্টেট অফ প্লে

‘স্টেট অফ প্লে’ মুক্তি পায় ২০০৯ সালে। এ সিনেমাতে রাসেল ক্রো একজন একরোখা সাংবাদিক হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি সংবাদপত্রের ক্রমাগত পরিবর্তনকে ঘৃণা করতেন। সিনেমায় তিনি একটা সেকেলে কম্পিউটার ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে তাঁর সাথে পরিচয় পরিচয় ঘটে এক নারী সাংবাদিকের যে কিনা রাসেল ক্রো’র মত একজন সাংবাদিক হতে চান। সিনেমাটিতে দুইজন মিলে এক ফন্দিবাজ রাজনীতিবিদের সব অপরাধ মানুষের কাছে তুলে ধরেন।

৪। সিটি অফ গড

‘সিটি অফ গড’ একটি ভয়াবহ সিনেমা। ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ এই সময়ে ব্রাজিলের শিশু-কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে নিয়ে এ সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। একজন ফটো-সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব শিশু-কিশোরের জীবনের সব ভয়াবহ কর্মকান্ড ক্যামেরাবন্দী করেন। তারপর তাঁর ফটোগুলোকে কেন্দ্র করে পত্রিকায় লেখালেখি শুরু হয়। এ সিনেমাটি আইএমডিবি র্যা ঙ্কিং এ ২১ তম অবস্থানে রয়েছে।

৫। নেটওয়ার্ক

অনেকের মতে ‘নেটওয়ার্ক’ সিনেমাটি সৃষ্টিকর্তা থেকে প্রদত্ত। এ সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। সিনেমাটি চারটি ক্ষেত্রে অস্কার পুরষ্কার পেয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তৎকালীন অবস্থা নিয়ে সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক সাংবাদিকের এ সিনেমাটি দেখা অত্যাবশ্যক।

৬। শাটার্ড গ্লাস

‘স্টিফেন গ্লাস’ নামের এক প্রতারক সাংবাদিককে নিয়ে এ সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ‘দ্য নিউ রিপাবলিক’ পত্রিকায় স্টাফ রাইটার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। খুব তাড়াতাড়ি খ্যাতিমান হতে চেয়েছিলেন ‘স্টিফেন গ্লাস’। তিনি ভুয়া সংবাদ তৈরি করে লোকজনের মনে সাড়া জাগাতে চেয়েছিলেন। ২০০৩ সালে এ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে।

৭। কন্ট্রোল রুম

‘কন্ট্রোল রুম’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ২০০৪ সালে। এটি মূলত একটি ডকুমেন্টরি। আমেরিকা ও ইরাকের যুদ্ধকে নিয়ে ‘আল জাজিরা’ পত্রিকার কাভারেজকে নিয়ে এ ডকুমেন্টরি তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেক সাংবাদিকের এ ডকুমেন্টরি দেখা আবশ্যক।

৮। জোডিয়াক

‘জোডিয়াক’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ২০০৭ সালে। যদিও এ সিনেমাটিকে অনেকে সাংদাদিকদের জন্য উপযোগী সিনেমা হিসেবে ধরে না, তবুও এ সিনেমাটি একটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা। এ সিনেমাটি একটি সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে, যার সমাধান এখনো হয়নি। ১৯৬০ এর শেষে ও ১৯৭০ এর শুরুর দিকে জোডিয়াক নামে এক সিরিয়াল কিলার ছিল। জোডিয়াক পত্রিকাগুলোতে বিভিন্ন ক্লু পাঠালেও পত্রিকাগুলো তার সম্পর্কে কোন তথ্য খুঁজে বের করতে পারে না। সিনেমাটিতে একজন পলিটিক্যাল কার্টুনিস্ট ও একজন ক্রাইম রিপোর্টার এ সমস্যাকে সমাধানের চেষ্টা চালায়।

৯। গুড নাইট এন্ড গুড লাক

‘গুড নাইট এন্ড গুড লাক’ সিনেমাটি ২০০৫ সালে মুক্তি পেয়েছে। এ সিনেমাটি ৬ টি ক্ষেত্রে অস্কারের জন্য নমিনেশন পেয়েছিল। গত শতাব্দীর বিখ্যাত এক সাংবাদিকের জীবন নিয়ে এ সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য এটিও অত্যাবশ্যক একটি সিনেমা।

১০। দ্য ইনসাইডার

মাত্র ৬০ মিনিটের ‘দ্য ইনসাইডার’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে ১৯৯৯ সালে। এ সিনেমাটি একটি সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে। টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রির বিরাট অবস্থান ছেড়ে দিয়ে ১৯৯৫ সালে এক লোক ক্যামেরা হাতে নেমে পড়েন একজন ফটো-সাংবাদিক হিসেবে। তাঁর কাহিনী নিয়েই নির্মিত হয়েছে এ সিনেমাটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top