সকল মেনু

খালেদার রাজবাড়ী সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ১ মার্চ শনিবার রাজবাড়ী দিয়ে শুরু হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক সফর। বেলা ১১টায় তিনি গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।

এই সফরে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল শক্ত, সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি ফেরানো এবং আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোই দলটির লক্ষ্য। এদিন রাজবাড়ীতে এক জনসভায় বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া। এতে সমসাময়িক বেশ কিছু বিষয় গুরুত্ব পাবে।

দলীয় সূত্র জানায়, রাজবাড়ীর শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দান মাঠে ১৯ দলীয় জোট জনভার আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন খালেদা জিয়া। বক্তব্যে গুরুত্ব পাবে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম, নির্যাতন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষগুলো। এছাড়া চলমান উপজেলা নির্বাচন বিষয়েও কথা বললেন তিনি। বক্তব্যে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে পুরনো অভিযোগগুলো তুলে ধরে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত একাদশ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করতেও সরকারের প্রতি আবার আহ্বান জানাবেন বিএনপি প্রধান।

সূত্র মতে, একাদশতম নির্বাচনের দাবিতে বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার আগে কিছুটা সময় নিয়ে সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে চায় বিএনপি। এ জন্যই মুলত দলীয় চেয়ারপাসনের এই সফর। পর্যায়ক্রমে অন্য জেলাগুলোতেও সফর করবেন তিনি। সফরকালে খালেদা জিয়া স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে দিক-নির্দেশনা দেবেন। আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বানও জানাবেন তিনি।

দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাজবাড়ী যাওয়ার পথে খালেদা জিয়া বিএনপির সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বাসায় যাবেন। এ সময় তিনি দেলোয়ার হোসেনের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করবেন।

দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, এই সফরে বেগম জিয়া গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাবেন। তারে খোঁজ খবর নেবেন। পাশে দাঁড়াবেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের জেলা সফর কর্মসূচ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের আরো বেশি সুসংগঠিত করবে। এর মাধ্যমে তৃণমূলে মনোবল চাঙ্গা হবে। তাছাড়া বিএনপি জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির মাধ্যমেই আন্দোলনে থাকতে চায়।

রাজবাড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম রাইজিংবিডিকে বলেন, সমাবেশ উপলক্ষে ১৯ দলের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। জনসভা সর্বাত্মক সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের আগমন ঘিরে রাজবাড়ীতে এখন নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সমাবেশে ৬ থেকে ৭ লাখ লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করেন তিনি।

এর আগে ২০১২ ও ২০১৩ সালে রাজবাড়ীতে পরপর তিনবার জনসভা করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেগুলো স্থগিত করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর রাজধানীর বাইরে এটাই খালেদা জিয়ার প্রথম কোনো সফর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top