সকল মেনু

চৌগাছায় বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাংবাদিসহ আহত ৫

রিপন হোসেন,যশোর থেকে :  ব্যাপক সহিংসতা, ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোটার ও প্রার্থীদের মারপিটের মধ্য দিয়ে যশোরের ৪ টি উপজেলায় শেষ হয়েছে নির্বাচন। গতকাল সকাল থেকে জেলার বাঘারপাড়া, শার্শা, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলার ৩৩৬ টি ভোট কেন্দ্রে এক যোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে বড় ধরনের কোন সহিংস ঘটনা না ঘটলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে এসব উপজেলায় সরকারী দল আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা স্বমূর্তিতে আর্বিভুত হন। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে চৌগাছা উপজেলার চানপুর , চৌগাছা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাসিলা, জগন্নাথপুর, নাইড়া, বল্লমপুর, সিংহঝুলি, জাহাঙ্গীরপুর, পাশাপোল, ধুলিয়ানি, কয়ারপাড়া, জামলতা, নারায়নপুর, সুখপুকুরিয়া, হাকিমপুর, ইছাপুর, ফুলসারা, মাড়–য়া, আড়কান্দিসহ প্রায় ৪৪টি ভোট কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা। এসব কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদের। একই সাথে কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হওয়া বিএনপি জামাত সমর্থিত ভোটারদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। সরেজমিন উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্র গুলোতে ভোটার না থাকলেও ভোট গ্রহণ অব্যাহত গতিতে চলছে। খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে সরকারী দল সমর্থিত নেতাকর্মীরা লাইন ধরে এসব কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে ব্যালট পেপার নিয়ে ইচ্ছা মতো সিল মেরে বাক্সে ঢোকাচ্ছে। প্রশ্ন করলে অধিকাংশ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারগণ তাদের অপারগতা প্রকাশ করে বলেন প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ায় এ ব্যাপারে তাদের কিছু করার নেই। জাহাঙ্গীরপুর কেন্দ্রের ১০টি বুথে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জহুরুল ইসলামের কোন নির্বাচনী এজেন্ট না পেয়ে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে জিঙ্গাসা করা হলে নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সকালে সবাই এসেছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদেরকে মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিবের ভাইপো এস এম বাবুলের  নেতৃত্বে এসব কেন্দ্র ও বুথ দখল করে ব্যাপক পরিমান জাল ভোট প্রদান করা হয়। এদিকে চৌগাছা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহুরুল ইসলামকে বেধড়ক পিটিয়েছে আওয়ামীলীগ কর্মীরা। এসময় মারপিটের ছবি তুলতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। হামলাকারীরা  সাংবাদিকদের ক্যামেরা পর্যন্ত ছিনিয়ে নেয়। এদিকে গুরুতর আহত জহুরুল ইসলামকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সময় চৌগাছার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বোমা হামলা ও গুলি বর্ষনের ঘটনাও ঘটেছে বলে পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এসব হামলার ঘটানায় বিএনপি প্রার্থীসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮জন কে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এসব ঘটনায় চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দিয়ে জেলা বিএনপির সেক্রেটারী এ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু আগামীকাল শনিবার চৌগাছা উপজেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেছে।
এদিকে জেলার ঝিকরগাছাতেও ঘটেছে ব্যাপক ভোট কারচুপি ও জাল ভোটের ঘটনা। উপজেলার ৯৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি কেন্দ্রই দখল করে নেয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ও দলের  বিদ্রোহী প্রার্থী মুছা মাহমুদের কর্মী সমর্থকরা। প্রশাসনের নির্বিকার ভুমিকার কারনে এসব কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থী সাবিরা নাজমুল মুন্নির নির্বাচনী এজেন্ট ও ভোটরদের বের করে দেওয়া হয়। এই উপজেলার সোনাকুড়, ইস্তা, বিষ্ণুপুর, দেউলি, পাচপোতা, নিত্যানন্দকাটি, শিমুলিয়া, কাগমারি, গঙ্গানন্দপুর, পানিশারা, রঘুনাথপুর নগর, বল্লা, নির্ভাসকোলা, হাড়িয়া, বাইয়া, আকিজ কলেজিয়েটে, আটুলিয়া, ঝিকরগাছা দাখিল মাদ্রাসা, বিএম হাই স্কুল কেন্দ্র সহ প্রায় ৪০টি কেন্দ্র দখল করে নেয় মনিরুল ও মুসা মাহামুদের কর্মী সমর্থকরা। এসব কেন্দ্রে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বিএনপি জামাতের কমপক্ষে ১৫জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। আপরদিকে কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ও বিদ্রোহী প্রার্থী মুছা মাহামুদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনা। এঘটনায় আওয়ামীলীগের ১০ নেতা কর্মী আহত হয়েছে। এদিকে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবিরা নাজমুল মুন্নি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আজমল হোসেনের কাছে ১০টি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান আওয়ামীলীগ সমর্থিত ২জন প্রার্থী জোর করে তার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তিনি দখল হয়ে যাওয়া ৪৫টি কেন্দ্রে পুনঃভোট গ্রহনের দাবী জানান। অপরদিকে শার্শা উপজেলাতেও ঘটেছে ব্যাপক ভোট কারচুপির ঘটনা। দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার ১০ ঘন্টার মধ্যে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল মান্নান মিন্নু নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষনা দিয়ে সাংবাদিকদের জানান পরিকল্পিতভাবে তার বিজয় ছিনিয়ে নিতেই গভীর রাতে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষনা দিয়েছে একটি মহল। যা কোন মতেই গণতান্ত্রিক হতে পারে না। তিনি বলেন বিপুল জন সমর্থন থাকা সত্ত্বেও দলীয় সভানেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্য বোধের কারনে শেষ মুহুর্তে নির্বাচন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। এদিকে নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম দুর্ণিতি, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া সহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে দুপুর ২টার সময় নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী খায়রুজ্জামান মধু। এদিকে চৌগাছা থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান, যশোরের চৌগাছায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর হামলায় বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী জহুরুল ইসলাম ও তিন সাংবাদিকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চৌগাছা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিকরা হলেন, সময় টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি জুয়েল মৃধা, প্রথম আলো ফটো সাংবাদিক এহসান মিথুন ও দৈনিক সমাজের কথার ফটো সাংবাদিক পরাগ রহমান লোক সামাজের সাংবাদিক এম এ রহিম।  বেলা ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
বিএনপির কর্মীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চৌগাছা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থী জহুরুল ইসলামের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। খবর পেয়ে জহুরুল ইসলাম ওই কেন্দ্রে ছুটে যান। কেন্দ্র পরিদর্শনকালে ১১টার দিকে এসএম হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা জহুরুলের ওপর হামলা চালায়। এতে জহুরুল ইসলাম রক্তাক্ত জখম হয়েছেন।
আহত সাংবাদিকরা জানান, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম হাবিবুর রহমানের সমর্থকরা বিএনপির প্রার্থী জহুরুল ইসলামকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এই খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে ছবি তুলতে থাকে। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। একপর্যায়ে একজনের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। একই সাথে ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে চৌগাছা পৌরসভার মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ারের ভাই শিমুলকে ছুরিকাহত করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।
সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বলেন, পৌর মেয়র সেলিম রেজা আওয়লিয়ারের ভাই আহত হয়েছে শুনে পুলিশ সেখানে এগিয়ে যান। এই ফাঁকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে বিভিন্ন মামলার আসামি আটকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
খবর পেয়ে যশোরের পুলিশের সুপার জয়দেব ভদ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ওসিকে ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আটকের নির্দেশ দেন।
অপরদিকে চৌগাছা ও ঝিকরগাছা বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপরদিকে বড় ধরনের কোন সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ভোট গ্রহণ শেষে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মশিউর রহমান ও আব্দুর রউফ নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন:
এদিকে জেলার চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোট কেন্দ্র আসতে বাধা প্রদান, ভোট কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেওয়া, সাধারণ নেতা কর্মীদের উপরে সন্ত্রাসী হামলা, বাড়ি ঘর ভাংচুর, প্রার্থীকে মারপিট, ব্যালট পেপার ছিনতাই, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর রহস্যজনক নিরাবতা পালন সহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বিকালে যশোর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডঃ সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, প্রশাসনে নির্লিপ্ত ভূমিকার কারণে জেলার চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও শার্শায় তাদের দলীয় প্রার্থীদের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের উপস্থিতিতে এই তিন উপজেলার প্রায় ১৬১টি ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা। বিষয়টি নিয়ে জেলার রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপারকে বারবার অবহিত করা হলেও কার্যত তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এর আগে নির্বাচনের আগের রাতে এসব উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত ভোটর ও কর্মী সমর্থকের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা। সবকিছু মিলিয়ে গতকাল জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে তিনটিতেই ঘটেছে নজীর বিহীন ভোট ডাকাতির ঘটনা। তিনি এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও পুনঃনির্বাচন দাবী করেন। একই সাথে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ স্বরুপ আগামী শনিবার চৌগাছা ও শার্শা উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহবান করেন।

রাস্তায় ব্যালট পেপার:
এদিকে নির্বাচন চলাকালে গতকাল যশোরের চৌগাছা ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে নির্বাচনী ব্যালট পেপার। ঝিকরগাছার পানিসারা, গদখালি, হাজিরবাগ, গঙ্গানন্দপুর, বাইশা, চৌগাছার মাশিলা, নারানপুর, গোয়াতলী, বল্লমপুরসহ শার্শা উপজেলার বেশ কয়েকটি কেদ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট পেপার ও সীল ছিনতাই করে নেয়। পরে বাইরে থেকে এসব ব্যালট পেপারে সীল মেরে বাক্সে ভরা হয়। এসময় তড়ি ঘড়ির কারনে বিভিন্ন রাস্তায় প্রায় শতাধিক সীল মারা ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায় যার কিছু অংশ স্থানীয় প্রশাসন ও কিছু অংশ বিএনপির কর্মী সমর্থকরা সংগ্রহ করেছে। প্রেস কনফারেন্সে জেলা বিএনপির সেক্রেটারী এ্যাডঃ সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু এরকম বেশ কয়েকটি ব্যালট পেপার সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top