সকল মেনু

বিনিয়োগকারীদের বেশি আগ্রহ বৈদেশিক ঋণে

ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : দিন দিন বাড়ছে বৈদেশিক ঋণ অনুমোদনের পরিমাণ। কম সুদ আর দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এসব ঋণের জন্য বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।   বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ২০১৩ সালে বিদেশ থেকে ১৮২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নিয়েছেন। আগের বছরের তুলনায় এই ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। ২০১২ সালে যার পরিমাণ ছিল ১০৪ কোটি ডলার। এ ধরনের বৈদেশিক অর্থায়ন দেশে মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া বৈদেশিক অর্থায়ন দেশে নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম মাসে বেসরকারি খাতের ১৩টি প্রকল্পে ১০ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের বৈদেশিক ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বাছাই কমিটি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বিদেশি ঋণের সুদ কম এবং দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীরা এই ঋণের দিকে ঝুঁকছে বেশি। কারণ, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নানা রকম দুর্নীতিগ্রস্ত। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত তারল্য থাকার পরও সুদের হার কমাতে পারছে না। তবে বিদেশি ঋণে ঝুঁকি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডলারের বিপরীতে যদি টাকার দর বাড়ে, তখন ঋণগ্রহীতা সমস্যায় পড়বেন। এ ছাড়া কোনো কারণে এসব ঋণ খেলাপি হলে গ্রাহকের পাশাপাশি দেশের ইমেজও নষ্ট হবে। বর্তমানে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর গড় সুদের হার ১৬ থেকে ১৮ শতাংশ। এর সঙ্গে বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ যোগ হয়ে যা গিয়ে দাঁড়ায় ২১ থেকে ২৩ শতাংশে। বৈদেশিক ঋণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ভালো বলে জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মাহফুজুর রহমান । তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এখন বিশ্ববাজার উন্মুক্ত। বৈদেশিক ঋণের সুদ কম। আবার এটি দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধাও হয়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই ঋণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top