সকল মেনু

ডা. ইভা হত্যা মামলায় কেয়াটেকার ফয়সালের ফাঁসির আদেশ

ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ডা. সাদিয়া আফরিন ইভা হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি মোঃ ফয়সালের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে দ্রুত বিচার-৪-এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হকের আদালত এই রায় প্রদান করেন।

২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর রাজধানীর দক্ষিণখানে ব্র্যাক ক্লিনিকের ডাক্তার সাদিয়া আফরিন ইভাকে কেয়ারটেকার ফয়সাল পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হয়ে ওই রাতেই ডা. ইভাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফয়সাল।

ডা. ইভার পিতার নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)। তাদের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে। ঘটনার পর পরই ৪ জনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়।

ডা. সাদিয়া আফরিন ইভা সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এফসিপিএস (পার্ট-২) কোর্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।

মাত্র ২ মাস আগে ব্র্যাক হাসপাতালে চাকরি নেন। চাকরির সুবাদে দক্ষিণখান থানার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় মা হাসিনা আক্তার ও ছোট বোন নাদিয়া আফরিনকে নিয়ে বসবাস করছিলেন।

প্রতিদিনের মতো ২৯ নভেম্বর রাতে হাসপাতালের নার্স খাদিজাকে নিয়ে ক্লিনিকে রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে ডা. ইভা বাসায় চলে যান। রাত ১২টার দিকে কেয়ারটেকার ফয়সাল একটি জরুরি অপারেশনের জন্য ডা. ইভাকে ক্লিনিকে আসতে বলে।

ডা. ইভা মানবিক কারণে এবং দায়িত্ববোধ থেকেই ক্লিনিকে যান। যথারীতি অপারেশনও করেন। অপারেশন শেষে তিনি তার তৃতীয় তলার নিজ বিশ্রাম কক্ষেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এর পাশের আরেকটি কক্ষে কেয়ারটেকার ফয়সাল বসবাস করে। বিশ্রামের এক পর্যায়ে দরজা নক করে ফয়সাল। ডা. ইভা দরজা খুলে দেয়।

এ সময় ডা. ইভা কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ফয়সাল তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ডা. ইভা জোর করে ফয়সালের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ফয়সাল ডা. ইভার মাথায়, শরীরসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে তাকে দুর্বল করে ফেলে। এরপর ফ্লোরে ফেলে ডা. ইভাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top