সকল মেনু

মুসলিম ভোটের হিসাব মেলাতে ব্যস্ত কংগ্রেস-বিজেপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ২৬ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : দরজায় কড়া নাড়ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। প্রায় ২২০টি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন মুসলিম ভোটাররা। এ কারণে মুসলমান ভোটারের সমর্থন পেতে নানা হিসেব নিকেশ মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বড় দুই দল কংগ্রেস ও বিজেপি।

নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে গতকাল মঙ্গলবার ১২ বছর আগের গুজরাট দাঙ্গার ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং। মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অতীতে যে কোনো ভুলের জন্য ক্ষমা চান তিনি। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা কিংবা বাবরি মসজিদ ধ্বংসে তার দলের ভূমিকার জন্য বিজেপি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মুসলিমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্তত শেষ বারের মতো সুযোগ দিন, আমারা যদি আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারি তাহলে আর কখনো আমাদের দিকে তাকাবেন না। এদিকে, রাজনাথের ক্ষমার চাওয়ার পর আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গুজরাট দাঙ্গার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাহুল গান্ধীর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মুসলিম ভোটাররা মোদীকে সমর্থনের বিষয়ে এখনো দ্বিমতে আছে। এই সুযোগটা নিতেই মাঠে নেমেছে বিজেপি ও কংগ্রেস। গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গে মোদীকে কোণঠাসা করতে মরিয়া সোনিয়া গান্ধী।

কিন্তু সাম্প্রতিক একাধিক সমীক্ষায় বিজেপির ভাল ফলের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। প্রায় সব সমীক্ষাই নিরাশ করেছে কংগ্রেসকে। এমনকি, সমীক্ষায় মুসলিম তথা সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের ছবিও কংগ্রেসের পক্ষে আশাপ্রদ নয়। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে মুসলিম ভোটারদের সংখ্যা তিরিশ শতাংশ বা তার বেশি। ৩৮টি আসনে ২১ থেকে ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোটার।

প্রথম ৩৫টি আসনের মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে পাঁচটি আসন, অসমে চারটি আসন, উত্তরপ্রদেশে আটটি আসন এবং বিহারে তিনটি আসন। অন্ধ্রপ্রদেশ একটি আসন। কেরালায় চারটি আসন। লাক্ষাদ্বীপে একটি আসন। অন্যভাবে বললে, মোট ৭৩টি আসনে বড়সড় ভূমিকা নেয় মুসলিম ভোট। একশ’ পঁয়তাল্লিশ আসনে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ১১ থেকে ২০ শতাংশ। একশ’ তিরাশিটি আসনে মুসলিম ভোটার পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ। পাঁচ শতাংশের কম মুসলিম ভোটার রয়েছে ১৪২টি আসনে।

সবমিলিয়ে প্রায় ২২০টি লোকসভা আসনে সাংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন মুসলিম ভোটাররা। কংগ্রেসের প্রতি নানা কারণে আস্থা হারিয়েছেন সংখ্যালঘুরা। কিন্তু সেই ভোট কি বিজেপির বাক্সে যাবে? আগের মতো মেরুকরণের হাওয়া এবার ততটা বিজেপি বিরোধী নয়, সেজন্য প্রথম থেকেই ভোটপ্রচারে বিভাজনের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মোদী।

অসম ছাড়া আর কোথাও হিন্দুত্বের তাস খেলেননি বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। কিন্তু গুজরাট হিংসার কাঁটা যে এখনো রয়ে গেছে সেটা আঁচ করেই মঙ্গলবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top