সকল মেনু

ক্ষমা না চাইলে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবেন শিল্পী মহান ফাহিম

বিনোদন প্রতিবেদক, ২৫ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) :  দেশের অন্যতম টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে না জানিয়ে মিউজিক ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন মহান ফাহিম নামের একজন শিল্পী। তিনি অভিযোগ করেন,গ্রামীণফোন তাদের “বিশ্ব গাইবে একই সুরে মায়ের ভাষায় গান” ক্যাম্পেইনের বিজ্ঞাপন চিত্রে তাঁর সৃষ্ট মিউজিক ব্যবহার করেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি শিল্পীর কোন অনুমতি নেয়নি। এমনকি বিজ্ঞাপন চিত্রের ক্রেডিট লাইনে শিল্পীর নামও ব্যবহার করা যায়নি। শিল্পী মহান ফাহিম সুরটির স্রষ্টা হিসেবে নিজের নামটি সেখানে চান। তিনি আজ মঙ্গলবার প্রিয়.কমকে জানান, এজন্য কোন সম্মানী দাবী করছেন না। শুধু নিজের ক্রেডিটটি চান। আর গ্রামীণফোনের এমন আচরনের জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। আগামী ৭দিনের মধ্যে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ ক্ষমা না চাইলে শিল্পী মহান ফাহিম আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানিয়েছেন।

ফেসবুকে মহান ফাহিমের স্ট্যাটাস
‘’আমার নাম মহান ফাহিম, আমি একজন ফিঙ্গার-স্টাইল গিটারিস্ট, সুরকার এবং সংগীত শিক্ষক। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে ইন্টারনেট মাধ্যমে আমার স্বকীয়তা বজায় রেখে ফিঙ্গার-স্টাইল গিটার বাজিয়ে অনেক ভিডিও রেকর্ড করেছি, যা অনেকের কাছে আলোচিত, প্রশংসিত এবং মূল্যায়িত হয়েছে। আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে অভিযোগ জানাচ্ছি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ টেলিকম অপারেটর গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে, সম্পূর্ণ অ-নৈতিকভাবে আমার বাজানো ট্র্যাক ব্যবহার করার জন্য।

গত ২০১৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি আমার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক ফ্যানপেজ থেকে “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো” গানটি প্রকাশ করি, যা পরবর্তীতে সরিয়ে ফেলি। ইতিমধ্যেই “একুশে মিউজিক ল্যাব”নামে একটি অনুষ্ঠানেও আমার এই ট্র্যাকটি প্রকাশিত হয়। ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে, খুব দুঃখের সাথে দেখতে পেলাম বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার “গ্রামীনফোন” আয়োজন করেছেন একটি বিজ্ঞাপনী ক্যাম্পেইন, যার নাম “বিশ্ব গাইবে একই সুরে মায়ের ভাষায় গান” যাতে গ্রামীনফোন ATL এবং BTL ক্যাম্পেইন চালিয়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাষায় গান জোগাড় করে এনেছে, কিন্তু মূল ইন্সট্রুমেন্টাল ট্র্যাক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে আমার বাজানো “একুশে ফেব্রুয়ারি” গানটি, আমার কাছ থেকে অনুমতি নেবার সৌজন্য দূরে থাক, সম্পূর্ণ ভিডিও’র কোথাও আমার নাম লেখা নেই। “বিশ্ব গাইবে একই সুরে মায়ের ভাষায় গান” নামের প্রজেক্টটি একদিনের কোনও প্রোজেক্ট নয়। এতে বহু টাকা খরচ করে বিশ্বের বহু দেশ থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন চালিয়ে রেকর্ড করে আনা হয়েছে বিভিন্ন

দেশি মানুষের নিজের ভাষায় গাওয়া আমাদের অমর একুশের গান। ভিডিওটির কমেন্ট দেখলেই বোঝা যাবে, এই ক্যাম্পেইনটি গ্রামীনফোনের জন্য কতটা সফল এবং কত সফলভাবে গ্রামীনফোন নিজেদের মহান(!) প্রমাণ করতে পেরেছে। এরকম একটা প্রজেক্টে সারা বিশ্বের সবাইকে মূল্যায়িত করা হবে, অথচ শঠতা করা হবে মূল মিউজিসিয়ানের সাথে, এটা কতটা গ্রহণযোগ্য আমি সাধারণ মানুষ হিসেবে সবার কাছে জানতে চাই। আমার ট্র্যাকটি ব্যবহার করতে চাইলে খুব সহজেই আমাকে খুঁজে বের করা যেতো।এবং যতগুলো মাধ্যমে আগে প্রকাশ করা হয়েছে, প্রতিটাতে আমার উপস্থিতি ছিল, সুতরাং আমাকে যোগাযোগ করা যায়নি সেই দাবিও গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিস্থিতি সবারই জানা। পাইরেসির সহ বিভিন্ন কারণে যখন সৃজনশীল সংগীত শিল্পীরা বাজার থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, সেরকম একটা সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ডের এই ধরনের অবজ্ঞা প্রদর্শন কতটা গ্রহণযোগ্য আমি জানতে আগ্রহী। বিশাল এই ক্যাম্পেইন চালানোর বিশাল বাজেটের মধ্যে সঙ্গীতশিল্পীর সন্মানী দেবার বাজেট না থাকতে পারে, কিন্তু শিল্পিকে সন্মান দেবার মানসিকতা আশা করাটা কি অনেক বেশি চাওয়া হয়ে যায়? যদি আপনি শিল্পের প্রসারে বিশ্বাস করেন, যদি আপনি চান বাংলাদেশে শিল্পের মূল্যায়ন হোক, তবে অনুগ্রহ করে আমার সাথে হয়ে যাওয়া এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন।‘’

ফাহিমের মিউজিক ভিডিও
https://www.facebook.com/photo.php?v=10151745872538916

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top