সকল মেনু

হলিউড মুভি রিভিউ- প্রতিশোধ ও প্রেমে পরিপূর্ণ পমপেই (ভিডিও)

বিনোদন প্রতিবেদক, ২৩ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : পমপেই, নিঃসন্দেহে একটি প্রাগৈতিহাসিক কাহিনী নির্ভর ছবি। ছবিটির একমাত্র বিস্ময়কর ব্যাপার যা আপনাকে মুগ্ধ করবে তা হলো, নিখুঁত ভাবে সেকেলের কাহিনিকে থ্রিডি ভার্সনে উপস্থাপন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন পল ডাব্লিউ এস এন্ডারসন।

নামটি এবং কিছু অংশ দেখে ২০০৩ সালের রবার্ট হেরিসের উপন্যাস মনে হলেও পল ডাব্লিউ.এস এন্ডারসন পরিচালিত পমপেই অনেকটাই আলাদা। সেক্ষেত্রে ছবিটির বৈশিষ্ট্যগত আবেদনটি লক্ষণীয়। প্রতিশোধ, প্রেম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মিশেলের এই ছবিটি আপানাকে নিয়ে যাবে এক অন্য ভুবনে।

ছবির শুরুতেই কিছু পাথর এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বৈরি আবহাওয়ার প্রতিচ্ছবির সাথে উচ্চারিত হওয়া কিছু কথা আপনাকে নিয়ে যাবে ভাবনার জগতে। শব্দ গুলো কিছুটা এরকম, ‘গভীর অন্ধকারে কেউ সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করে আবার কেউ মৃত্যু কামনা করে’। তখনকার সময়ে ইতিহাস এবং রাজনীতি থেকে অনেকটাই আলাদা পমপেই ছবিটি। ৭৯ খ্রিষ্টাব্দের আলোকে তৈরি ছবিটি মুল পমপেই উপন্যাসকে ভেঙ্গে নতুন ভাবে তৈরি করেছেন। যেখানে উপন্যাসের চরিত্রের সাথে ছবির চরিত্রের কোন মিলই খুজে পাবে না দর্শক।

ছবিতে মাইল, তার গোষ্ঠীর মধ্যে সেই একমাত্র জীবিত কৃতদাস। যে কিনা পরবর্তীতে প্রশিক্ষনের মাধমে একজন দুর্ধর্ষ যোদ্ধায় পরিণত হয় তার গোত্রীয় লোকের হয়ে রোমানদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। কেননা এখন থেকে ১৭ বছর পূর্বে এই মাইলির চোখের সামনেই তার মা এবং পুরো কৃতদাস গোষ্ঠিকে নিঃশেষ করে ফেলা হয়। ১৭ বছরের কষ্টকে বুকে চেপে রেখে দিন দিন রক্ত পিপাসু হয়ে ওঠে মাইল। এভাবেই প্রেম এবং প্রতিশোধের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় গল্পের কাহিনী।

অভিনয়ের দিক বিবেচনা করলে তেমন অসাধারন কিছুই খুজে পাওয়া যায়নি। চরিত্রগুলোকে খুব বেশি একটা পেঁচাননি পরিচালক খুব সহজেই দর্শক চরিত্রগুলোকে পড়তে পারবে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহার, ক্যামেরা পারদর্শিতা সাধারণ ছবিটিকেও করে তুলেছে আকর্ষণীয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top