সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রীর তওবা করা উচিত : বিএনপি

ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : সারাদেশে বিরোধী মতের ওপর হত্যা, গুম এবং নির্যাতনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তওবা করা উচিত বলে মনে করে বিএনপি। 

দলের পক্ষে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা প্রধানমন্ত্রীর স্বভাব। তাই সাড়ে সাতশ ইদুর মেরে বিড়াল বলে তীর্থে যাচ্ছি- এই প্রবাদের সঙ্গে তার কথার মিল খুঁজে পাওয়া যায়।  

রোববার সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে উপজেলা নির্বাচনের অংশ নেয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নাকে খত দিয়ে তওবা করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় জনগণ লজ্জা পেলেও তিনি পান না।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষা কদর্য এবং কুৎসিত মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) ছয় বছর দেশের বাইরে একটি বিশেষ দেশে থেকেছেন। এখন যে ভাষায় কথা বলেন তাতে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি পড়াশোনা করেছেন সেটি জানার বিষয়। 

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা অনুগত প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই, জালভোট প্রদান, ভোট কেন্দ্র দখল করার পরও বিরোধী দলীয় জোট প্রার্থীরা জয়লাভ করায় সরকার কান্ডজ্ঞান হারা হয়ে পড়েছে। 

সারাদেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।


আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত অংশ হিসেবে কাজ করছে। সরকারও নির্বাচনকে ম্যানিপুলেট (নিপুনভাবে ব্যবহার করা) করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে বীভৎসভাবে কাজে লাগাচ্ছে।

তিনি বলেন, ভোটারশূণ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তারা তথাকথিত বিজয়ের গর্বে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য সব ধরণের অপচেষ্টা করছে। এমনকি আর যাতে ক্ষমতা হারাতে না হয় সেই আতঙ্কে এখন তারা কম্পোজিট সন্ত্রাসের কাঠামো নির্মাণ করছে। 

আওয়ামী লীগ সমালোচনা সহ্য করতে পারে না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সরকারের অনীহা থেকেই বোঝা যায়, তারা আক্ষরিক অর্থে বাকশাল কায়েমের জন্য আর কোনো কিছুই গোপন রাখতে চায় না। আর এজন্য তারা বর্তমানে অঘোষিত কারফিউ দিয়ে দেশ চালাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে তাদের ভূমিকার কারণে জনগণের নিকট তাদের ন্যূনতম আস্থার জায়গাটি হারিয়ে ফেলেছে। তারা এখন অবৈধ সরকারের টাইপিস্টের ভূমিকা পালন করছে। তাদের এমন স্বেচ্ছা আনুগত্যের নজির পৃথিবীর কোথাও নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণা করার সময় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ১৯ দলীয় জোটের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মাস্টারের প্রচার প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন ও শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top