সকল মেনু

সহজেই পরাজয় বরণ

মিরপুর, ২২ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ২০১১ সালের পর দেশের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ হারের সাথে সাথে ‘হোয়াইটওয়াশ’ এর স্বাদ নিলো বাংলাদেশ। ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৭ সালের পর প্রথম হোয়াইট ওয়াশ হল বাংলাদেশ।

শনিবার শ্রীলঙ্কার টাইগারদের পয়মন্ত ভেন্যুতে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় পায়। টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ২৪০ রান জমা করে। জয়ের ধারাবাহিকতায় থাকা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ১৫ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে। জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার কুশল পারেরা।

ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে শতকের দেখা পান বাহাতি এই ওপেনার। রুবেলের বলে ইনিংসের শেষ দিকে আউট হবার আগে ১২৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৫ ওভার বাউন্ডারিতে ১০৬ রান করেন তিনি। কুশল ছাড়াও দিনেশ চান্দিমাল ৬৪ রান করেন।

তৃতীয় উইকেটে এই জুটির (১৩৮) উপর ভর করে শ্রীলঙ্কার জয়ের ভিত গড়ে উঠে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেন।

এর আগে  টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাও ছিল মন্দ। প্রথম দুই ওয়ানডেরও মতো তৃতীয় ওয়ানডেতেও ফ্লপ আনামুল-শামসুর রহমানের ওপেনিং জুটি। এর আগের প্রথম ওভারেই ভেঙ্গে যায় এই দুই ব্যাটসম্যানের জুটি। শনিবার তৃতীয় ওয়ানডেতে ওপেনিং জুটির স্থায়িত্ব হয় ইনিংসের ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত।

মালিঙ্গার বিশ্রামে দলে সুযোগ পাওয়া ধামিকা প্রাসাদের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ তুলে দেন আনামুল। দলীয় ১৭ রানে উদ্বোধনী ভাঙ্গার পর দ্বিতীয় উইকেটে শামসুর রহমান ও মুমিনুল হক ৬২ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। ৪৫ রান আসে এই জুটি থেকে। কিন্তু ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারেনি শুভ।

সতেরতম ওভারে প্রাসাদের বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে নেন ২৫ রান করা শুভ। ধারাবাহিক পারফর্ম করা মুমিনুল এরপর তৃতীয় উইকেটে মুশফিককে সাথে নিয়ে লড়াই করেন। এই জুটি স্কোর বোর্ডকে সচল রেখে ১০৮ রান পর্যন্ত টেনে নেন।

এ সময়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল। অর্ধশতক পাবার পর ব্যাক্তিগত খাতায় ১০ রান যোগ করতে রান আউটের শিকার হন মুমিনুল হক। ৬০ বলে ৬০ রান করেন বাহাতি এই টপ অর্ডার। ডিপ ফাইন লেগ থেকে অসাধারণ থ্রো টি করেন ভিথানাগে।

মুমিনুলের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিম দলকে টানতে পারেননি। প্রাসাদের বলে পয়েন্টে দাড়ানো সুচিত্রা সেনানায়েকের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। এরপর পঞ্চম উইকেটে নাঈম ইসলাম ও নাসির হোসেন ৫৪ রানের জুটি গড়ে বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগায়। কিন্তু সাকিবের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া নাঈম নিজের স্কোরকে বড় করতে পারেনি। সেনানায়েকের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিড অফে তালুবন্দি হন নাঈম (৩২)।

এরপর নাসির হোসেনের ৩৮ ও সোহাগ গাজীর ১৩ বলে ২৩ রানের ইনিংসে লড়াই করার টার্গেট পায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বোলারদের হয়ে ধামিকা প্রাসাদ ৪৯ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া লাকমাল ২টি এবং ১টি করে উইকেট নেন থিসারা পারেরা ও সুচিত্রা সেনানায়েকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top