সকল মেনু

মিরপুর চিড়িয়াখানা জাতীয় হচ্ছে

ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : মিরপুর চিড়িয়াখানাকে জাতীয় চিড়িয়াখানা হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ  হোসাইন ভূইঞার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘোষণা বিষয়টি উপস্থাপন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ডা. শেলিনা আফরোজা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, দেশে কোনো জাতীয় চিড়িয়াখানা না থাকায় নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। এ কারণে ২০১২ সালে জাতীয়ভাবে চিড়িয়াখানার ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জাতীয়ভাবে ঘোষিত চিড়িয়াখানা না থাকার কারণে আন্তর্জাতিক সহায়তা পাচ্ছে না বাংলাদেশ। পাশাপাশি পিছিয়ে পড়ছে দুর্লভ প্রাণি সংগ্রহ, চিকিৎসাসহ আধুনিকায়নের সুবিধা থেকে। এ ছাড়াও নানা পরিবেশগত সমস্যার কারণে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব জু এ্যান্ড এ্যাকুরিয়ামসের (ওয়াজা) সদস্য পদ পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ।
চিড়িয়াখানা উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টাদের দিয়ে চিড়িয়াখানায় দুবছর আগে একটি বৈঠক করা হয়।

এখানেই মিরপুর চিড়িয়াখানাকে জাতীয় চিড়িয়াখানা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।

চিড়িয়াখানার বর্ণনায় বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালে ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে একটি চিড়িয়াখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পঞ্চাশের দশকে ঢাকা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সিমীত আকারে হাতি, চিত্রা হরিণ, বানরসহ কয়েক প্রজাতির বন্যপ্রাণী নিয়ে ঢাকা চিড়িয়াখানার যাত্রা শুরু হয়। মিরপুর এলাকায় ১৯৬০ সালে চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা অনুমোদিত হয়। ১৯৬১ সালে চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করে প্রাণীদের বাসস্থান ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি, হাইকোর্ট সংলগ্ন চিড়িয়াখানা হতে বন্যপ্রাণী স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। নানা পটপরিবর্তনের কারণে ১৯৭৪ সালের ২৩ জুন দর্শনার্থীদের জন্য মিরপুর চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত করা হয়।

বর্তমানে মিরপুর চিড়িয়াখানায় স্তন্যপায়ী ৪৪৭টি প্রাণী, সাপ ও সরিসৃপ ৬১টি, পাখি ৯৯২টি এবং ৭৯৭টি মাছ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top