সকল মেনু

‘দেশের সমুদ্রসীমা এখন ভারতের হাতে’

ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ভারতীয় কোম্পানি অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তি করে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।

মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক সভায় এ অভিযোগ করা হয়। সভায় নেতারা বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আনার আসল উদ্দেশ্য দ্রুতই পরিষ্কার হচ্ছে। বাংলাদেশে এই ধরনের অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী নীতি ও কর্মসূচিসমূহ সহজে বাস্তবায়ন করার জন্যই।

তারা বলেন, এই সরকার সুন্দরবনের রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে ও সমুদ্রে খনিজ সম্পদ খোঁজার জন্য বিদেশী কোম্পানিগুলোকে লিজ দিয়ে জ্বালানি খাত বহুজাতিকদের হাতে তুলে দেয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

নেতারা আরো বলেন, ওএনজিসি নামে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির সাথে সমুদ্রে উৎপাদন অনুসন্ধান চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে কার্যত বাংলাদেশের সমুদ্রসীমাকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। ৯০ দশকের আগে ওএনজিসি পেট্রোবাংলার চেয়ে অগ্রসর কোন প্রতিষ্ঠান ছিলনা। ৯০ দশকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলই পালাক্রমে পেট্রোবাংলার হাত থেকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র তুলে নিয়ে তা বহুজাতিকদের হাতে অর্পণ করেছে। যার কারণে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আজ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ হাতিয়ে নিয়েছে, আর পেট্রোবাংলা হয়ে পড়ছে নির্জীব।

নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সুন্দরবনের ঘাড়ের ওপর রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের যে সংকল্পের ঘোষণা সরকার করেছে তাও একরকম প্রতারণামূলক। সুপার ক্রিটিক্যাল যে প্রযুক্তি ব্যবহার করার কথা তারা বলছে, তাতে সর্বোচ্চ বিশ ভাগ ফ্লাই অ্যাশের পরিমাণ কমবে। এই কারণেই দুনিয়ার কোথাও এত স্পর্শকাতর কোন বনভূমির কাছে এ জাতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের নজির নেই।

প্রতারণার আরও নজির হলো দূষিত ফ্লাইঅ্যাশকে মূল্যবান বস্তু হিসেবে দেখানো। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফ্লাইঅ্যাশই বিক্রি করা সম্ভব হয়নি বলে তা স্তুপ করে ফেলে রাখা হয়েছে, যা দূষণের কারণ ঘটাচ্ছে বলে মনে করেন বক্তারা।

গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলা হয়, সমুদ্রসীমায় রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিরোধী তৎপরতা রুখে দাঁড়াতে হবে। অপরাপর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে নিয়ে গণসংহতি আন্দোলন জনগণের স্বার্থ রক্ষার সেই আন্দোলনই গড়ে তুলবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, আবুল হাসান রুবেল, বাচ্চু ভূঁইয়া, ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখ্তার, আবু বকর রিপন, আলিফ দেওয়ান, শ্যামলী শীল, জুলহাসনাইন বাবু, প্রবীর সাহা প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top