সকল মেনু

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি

ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : বঙ্গোপসাগরের অগভীর অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ভারতীয় কোম্পানি ওএনজির সঙ্গে চুক্তি সই করেছে পেট্রোবাংলা।

ঝুলে থাকা উৎপাদন অংশিদারত্ব চুক্তি-২০১২ এর মাধ্যমে কার্যকর হচ্ছে। এর আগে পেট্রোবাংলা বলেছি, চলতি মাসেই তিনটি ব্লকের জন্য তারা অংশিদারত্বের ভিত্তিতে চুক্তি স্বাক্ষর করতে আগ্রহী।

এরই অংশ হিসেবে আজ সোমবার ভারতের অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) সঙ্গে দুটি ব্লকে উৎপাদন-অংশিদারত্ব চুক্তি (পিএসসি) সই করে পেট্রোবাংলা।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, এই ধরনের চুক্তির প্রয়োজন ছিল।

ওএনজিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডিকে সরাফ বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত ১৯৭১ সাল থেকে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি জানান, চুক্তির মাধ্যমে ভারতের ওএনজিসি চার ও নয় নম্বর ব্লকের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে। চার নম্বর ব্লকে ২ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ এবং ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালান হবে।

দুটি অনুসন্ধান কূপ খননসহ এ প্রকল্পে তারা ৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয় করার প্রস্তাব দিয়েছে। একইভাবে নয় নম্বর ব্লকে ২ হাজার ৮৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ ও ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ পরিচালনা করবে ওএনজিসি। দুই পর্যায়ে মোট তিনটি অনুসন্ধান কূপ খননসহ এ কাজে সাড়ে ৮ কোটি ডলার ব্যয় করবে প্রতিষ্ঠানটি।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান প্রফেসর এম হুসাইন মনসুর জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে থাকায় চুক্তি স্বাক্ষরে বিলম্ব হয়েছে। তা ছাড়া ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোও চুক্তি স্বাক্ষরে অপারগতা প্রকাশ করে। এখন নতুন সরকার আসায় চুক্তিগুলো স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তিনটি ব্লকের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দুটি কোম্পানি মনোনীত হয়েছে।

এর আগে গত ডিসেম্বরের শুরুতে চুক্তি স্বাক্ষরের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা পিছিয়ে যায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওতায় জাতীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট এ রকম চুক্তি করার ঝুঁকি নিতে চায়নি মন্ত্রণালয়। এ কারণে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষর স্থগিত রাখার জন্য পেট্রোবাংলাকে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয় জ্বালানি বিভাগ।

এদিকে দরপত্রে অংশ নিয়ে অগভীর সমুদ্রের ৭ নম্বর ব্লকে অনুসন্ধানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে কনোকো।

অন্যদিকে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুত ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সচিব মোজাম্মেল হক খান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী, ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top