সকল মেনু

লোডশেডিংয়ের যাতাকলে ভোলাবাসী

এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা :  ভোলায় সিডিউল মেন্টিন্যান্স’র কারণে শনিবার সকাল থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জেলায় ৬টি উপজেলা অন্ধকারে রয়েছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও লোডশেডিং থেকেই গেল। লোডশেডিংয়ের যাতা কলে পড়ে গেল ভোলা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ জেলার কয়েক লক্ষাধিক গ্রাহক। সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে ৫টা নাগাত বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ শুরু হলেও বেশীরভাগ উপজেলা অন্ধকারে রয়েছে। যারফলে বিপাকে পড়েছেন এসএসপি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ বন্ধ থাকায় পৌর এলাকায় পানির চরম সংকটের উপক্রম হয়েছে। এছাড়া ছোট-বড় কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশা-পাশি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় দ্রুত বিদ্যুৎ চালুর দাবী জানিয়েছে গহকরা।ভোলা ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো) আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ আলী জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে সিডিউল মেন্টিনেন্স (নিয়ম মাফিক মেরামত) কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ শুরু হলেও রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে ভোলা। মাঝে মাঝে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও সম্পূর্ণরুপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি। তাই ভোলার ৬ উপজেলা বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে।পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সোহরাব আলী বিশ্বাস বলেন, শনিবার বিকালে বিদ্যুৎ চালু হলেও শুধু মাত্র দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন সদরে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ শুরু করেছেন। তবে রবিবার দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় আছেন। তবে কখন সকল উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে তার বিস্তারিত জানা যায়নি। তিনি আরো বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনের দাবী ভোলাবাসীর।এদিকে, জেলার ৬টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক লাখ গ্রাহক। বিশেষ করে পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে গ্রাহকদের গৃহস্থলী কাজ সকল কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটছে।শহরের ওয়েষ্টার্ণ পাড়া রোড এলাকার শিপ্রা রাণী নামের গৃহিনী বলেন, শনিবার সকালে বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে পানি সরবরাহ বন্ধ হলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ি। রাইস কুকার চালানো সম্ভব হয়নি। ফ্রিজে রাখা খাবারও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এদিকে ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবারও দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কোন বিদ্যুৎ নেই। কখন বিদ্যুৎ আসবে তাও বলতে পারছি না। চরনোয়াবদ এলাকার মিতু সাহা নামের অপর এক গৃহবধু বলেন, পানির কারণে গৃহস্থালীর কোন কাজই করা সম্ভব হয়নি। বহু কষ্ট করে অনেক দুর থেকে পানি এনে সাময়িক সমস্যা দুর করছি। এভাবে চলতে থাকলেও মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।ভোলা শহরের তাজনিন আক্তার নামের এসএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিদুতের লোডশেডিং এর কারণে আমরা ঠিক মত পড়া-লেখা করতে পারছিনা। এভাবে যদি পরীক্ষার সময় লোডশেডিং চলতে থাকে তাহলে সামনের পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে দেয়া সম্ভব হবে না। এদিকে, ৭ মাস মাস ধরে ভোলার একমাত্র গ্যাস ভিত্তিক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট বিকল থাকায় ভোলায় চাহিদা মত বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না। ভোলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২২ মেগাওয়াট হলেও পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং এর মধ্যদিয়েই ভোলাবাসীর দিন কাটছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top