সকল মেনু

চীন-তাইওয়ান: ছয় দশক পর শুরু হচ্ছে সংলাপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১১ ফেব্রুয়ারি  (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৈঠক শুরু হতে যাচ্ছে আজ মঙ্গলবার। চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং শহরে চার দিনব্যাপী এ সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে।

দুটি দেশের মধ্যে এ রকম আলোচনার উদ্যোগ অন্তত ছয় দশকের মধ্যে এটিই প্রথম। চীন তাইওয়ান দ্বীপকে তার বিদ্রোহী প্রদেশ মনে করে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি সম্পর্কে চীনের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে।

তাইওয়ান সরকারের চীনবিষয়ক নীতির তত্ত্বাবধায়ক ওয়াং ইউ-চি এবং চীনের তাইওয়ানবিষয়ক দপ্তরের প্রধান ঝ্যাং ঝিজুনের মধ্যে সম্ভাব্য ওই আলোচনা হবে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এবারের সংলাপের ফলে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। তবে পারস্পরিক বিরোধের দীর্ঘ ইতিহাস এড়িয়ে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য উভয়কে আরও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক জিয়া কিংগু জানান, চীন-তাইওয়ান সংলাপের একটি প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে অধিকতর আস্থা ও বিশ্বাসের সূচনা হবে। এ ছাড়া পারস্পরিক সহযোগিতায়ও অগ্রগতি হবে। তাইওয়ানের প্রতিনিধি এবারের সফরের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিণাম আশা করলেও চীন মূলত দ্বীপটির সঙ্গে একীভূত হওয়ার দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের প্রতিই মনোযোগী হবে।

বেইজিং এখনো তাইওয়ানকে তার একটি বিদ্রোহী অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করে এবং দ্বীপটিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করতে চায়। আর তাইওয়ান মূলত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন চায়।

চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ১৯৪৯ সালের তিক্ত বিভক্তির পর সরকারি পর্যায়ে সরাসরি আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। ওই বছর বিপ্লবী নেতা মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্টদের সঙ্গে গৃহযুদ্ধে পরাজিত হয়ে জাতীয়তাবাদী নেতা চিয়াং কাই-শেকের ২০ লাখ সমর্থক তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। তার পর থেকে চীন ও তাইওয়ান পৃথক সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

উভয় সরকারই নিজেদের প্রকৃত শাসক বলে দাবি করে আসছে। ১৯৯০ এর দশকে আধা সরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top