সকল মেনু

তাজরীন ফ্যাশনসের পরিচালক মাহমুদার জামিন

 আদালত প্রতিবেদক: তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক  দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।  ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম ইসমাইল হোসেন জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে মাহমুদা আক্তারের ১ মাসের অন্তবর্তীকালিন জামিন মঞ্জুর করেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেনের জামিন আবেদন তিনি নাকচ করে দেন। এর আগে রোববার বিচারিক হাকিম তাজুল ইসলাম দুই আসামিরই জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর কথা প্রকাশ্য আদালতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু গতাকাল মামলার নথিপত্রে দেখা যায় আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে মামলার নথি মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল শুনানী শেষে মুখ্য বিচারিক হাকিম ইসমাইল হোসেন আসামি মাহমুদা এ জামিন মঞ্জুর করলেন। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি শেষে পলাতক ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। তারা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহিদুজ্জামান দুলাল ও প্রডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু। এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মহসীন উজ্জামান খান চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে ১০৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনার এক বছর ১ মাস পর এ চার্জশিট দাখিল করা হলো। এ ঘটনায় ১১১ জন জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ
হয়ে মারা যান। আহত হন ১০৪ জন শ্রমিক। গার্মেন্টসটিতে এক হাজার একশ ৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন
শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন। নিহত ১১১ জনের মধ্যে তৃতীয় তলায় ৬৯ জন, চতুর্থ তলায় ২১ জন, পঞ্চম তলায় ১০ জন, পরবর্তীতে বিভিন্ন
হাসপাতালে মারা যান ১১ জন। লাশ সনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে তাদের আত্মীয় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকী ৫৩ জনের লাখ সনাক্ত না হওয়ায় তাদের অসনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। চার্জশিটভুক্ত ১২ আসামি হলেন- দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহিদুজ্জামান দুলাল, প্রডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল
আমিন, ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে  আনারুল, স্টোর ইনচার্জ আল আমীন ও লোডার শামীম মিয়া। আসামিদের মধ্যে প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহিদুজ্জামান দুলাল, প্রডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু এখনও পলাতক রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top