সকল মেনু

তারল্যের সব অংশই অলস অর্থ নয় : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি  (হটনিউজ24বিডি) :  ব্যাংকিং খাতের অতিরিক্ত তারল্যের সব অংশই ‘অলস অর্থ’ নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার সংক্রান্ত একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, গত ৯ জানুয়ারি’১৪ তারিখের তথ্যানুসারে ব্যাংকিং খাতে এসএলআর সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত তারল্য ৮৯ হাজার ৩৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ অতিরিক্ত তারল্যের মধ্যে সরকারি সিকিউরিটিজে রয়েছে ৭৯ হাজার ৯৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা (অতিরিক্ত তারল্যের ৮৮.৫ শতাংশ), সাড়ে ৫ শতাংশ হারে দৈনিক সিআরআর সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত ৫ হাজার ১৫১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা (অতিরিক্ত তারল্যের ৫.৮ শতাংশ) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবের আকলন স্থিতি ৫ হাজার ৯০ কোটি ২২ লাখ টাকা (অতিরিক্ত তারল্যের ৫.৭ শতাংশ)।

ব্যাংকিং খাতের এ অতিরিক্ত তারল্যের সব অংশই ‘অলস অর্থ’ নয়। কেননা, সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ শুধুমাত্র সরকারের উন্নয়ন ও অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য অপরিহার্য নয়, বরং এ বিনিয়োগ ব্যাংকের জন্য ঝুঁকিমুক্ত আয়ও নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবের আকলন স্থিতির উপর ব্যাংকসমূহ সুদ পেয়ে থাকে এবং বৈদেশিক ব্যবসা-বাণিজ্যর একটি বড় অংশের দায় মেটানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে। সিআরআর সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত তহবিলের উপর ব্যাংক কোন সুদ পায় না। সেই কারণে সিআরআর সংরক্ষণের পর অতিরিক্ত তহবিলই অলস তহবিল হিসেবে বিবেচ্য হবে। তবে ব্যাংকসমূহ সিআরআর সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত চলতি হিসাব ব্যবহার করে বিধায় এ হিসাবে কিছুটা অতিরিক্ত তহবিল থাকা অস্বাভাবিক নয়। সুতরাং সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বাদে রক্ষিত অতিরিক্ত রিজার্ভের পরিমাণ ৫ হাজার ১৫১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা আমানতের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ। এটি মোটেই অতিরিক্ত নয় বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো জানায়,  বাংলাদেশে কার্যরত প্রতিটি ব্যাংক কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭৫ এবং ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুসারে নির্ধারিত হারে সিআরআর এবং এসএলআর সংরক্ষণ করতে হয়। তলবি এবং মেয়াদী দায়ের মোট পরিমাণের ন্যূনতম সাড়ে ৫ শতাংশ প্রতিদিন এবং ৬ শতাংশ হারে দ্বি-সাপ্তাহিক ভিত্তিতে সিআরআর সংরক্ষণ করতে হয়। সিআরআর সংরক্ষণের এ হার সব ব্যাংকের জন্য সমান।

অন্যদিকে, তলবি ও মেয়াদি দায়ের মোট ১৯ শতাংশ  (ফেব্রুয়ারি ২০১৪ হতে ১৩ শতাংশ) প্রতিদিন সংরক্ষণ করতে হয়। এসএলআর হিসেবে সংরক্ষণযোগ্য সম্পদ হচ্ছে হাতে নগদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে সোনালী ব্যাংকের রক্ষিত স্থিতি, নগদ জমা (ফেব্রুয়ারি ২০১৪ হতে ৬ শতাংশের অতিরিক্ত), দায়মুক্ত সরকারি সিকিউরিটিজ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবের আকন স্থিতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top