সকল মেনু

৬০ বছরে এত নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়নি

ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি : ‘বর্তমানে কারাগারে যে পরিমাণ নেতা-কর্মী রয়েছে দেশের গত ৬০ বছরের ইতিহাসে এত নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়নি। এই নেতা-কর্মীদের মুক্তি চেয়ে কোনো লাভ নেই। পুরো দেশই এখন একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে।’ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘দেশের শতকরা ৯৫ জন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে যে হাসতে পারে, তাকে বিধাতার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের কাতারে ফেলা যায় না।’

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়েজিত ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে বাংলাদেশ ও আতঙ্কিত জনগণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে মানুষ গুম করতে পারেন কিন্তু চেতনা গুম করতে পারবেন না। তেমনি করে তিনি তার সরকারের অন্যায়কে গুম করতে পারবেন না।

দশম জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কোনো মানুষ যায়নি, গিয়েছে শুধু গরু-ছাগল আর কুকুর। এরা যদি কথা বলতে পারত, তবে ভোটারবিহীন নির্বাচনের সাক্ষ্য তাদের কাছেই পাওয়া যেত।’

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, পদ্মাপারে একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে যে ভাষায় কথা বলেছেন, তা কোনোভাবেই ভদ্রোচিত ভাষা হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যৌথ বাহিনী দেশের গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষের ওপর যেভাবে হামলা করছে, তা একাত্তরের পাকিস্তানি বাহিনীর হামলাকেও হার মানিয়েছে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম যুক্তরাজ্যের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হায়দার আহমদ খান, সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, ১৯ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সোহাইব আহমেদ, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top