সকল মেনু

চট্টগ্রাম রেলের শিডিউলে বিপর্যয়

চট্টগ্রাম, ৮ ফেব্রুয়ারি : চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ও সিলেট রুটে রেলের শিডিউল বিপর্যয় যেনো কাটছেই না। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল ঠিক থাকলেও চট্টগ্রাম সিলেট রুটের কোনো ট্রেনই নির্ধারিত শিডিউলে চলাচল করছে না।

এতে নিত্যদিন হাজারো যাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। হরতাল বা নাশকতা ছাড়াই দীর্ঘ তিন মাস ধরেই চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে পাহাড়িকা ও উদয়ন ট্রেন চলাচলে মারাত্মক শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে।

একই সাথে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে প্রভাতী ট্রেন প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে। এতে পূর্বাঞ্চলের জিএমসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরই দায়ী করছেন সাধারণ যাত্রীরা।

চট্টগ্রাম-সিলেটের ট্রেনে প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা দেরিতে ট্রেন চলাচলের কারণে চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্লাটফর্মে যাত্রীরা অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, যাত্রীরাদের ভ্রমণ সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে বিশ্রামাগার (বর্তমানে আল হাসিব) ও গণ-শৌচাগার (বর্তমানে হোটেল বিরতি) থাকার কথা থাকলেও এখন আবাসিক ও খাবার হোটেলে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি মোটেল সৈকতসহ আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড।

বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটগামী উদয়ন ট্রেনের যাত্রী শিশির ও আজম জানান, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর শুনলাম গভীর রাত (প্রায় সাড়ে তিনটায়) ট্রেন ছাড়া হবে। তাই আর যাওয়া হয়নি। তবে স্টেশনে মহিলাসহ যাত্রীদের সুবিধার জন্য গণ-শৌচাগার ও বিশ্রামাগার না থাকায় অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে আবাসিক হোটেলগুলোতেও অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলার অভিযোগ থাকায় এসব হোটেলেও যাত্রীরা অবস্থান নিতে সাহস করেন না। এতে চরম দুর্ভোগের মধ্যেই যাত্রীদের প্লাটফর্মে বসে দিন রাত অতিবাহিত করতে হচ্ছে।

রেলওয়ে সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান জানান, রেলের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্যই নিয়মিত অফিস করেন। সাধারণ মানুষের কোন উপকার হয় না তাদের দিয়ে। এতদিন হরতাল ও নাশকতার বিষয়ে পাইলটিং এর কারণে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছিল। এখন কি কারণে শিডিউল বিপর্যয় এর কোনো সদুত্তর নেই রেল কর্মকর্তাদের কাছে।

মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে মহিলাদের গণ-শৌচাগার এবং বিশ্রামাগার না থাকায় যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে রয়েছে। বর্তমানে স্টেশনের ভিতরেই আবাসিক হোটেল করায় যাত্রীদের এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম রেলওয়ের স্টেশন মাষ্টার মাহবুবুর রহমান খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম-সিলেট রোডে বিভিন্ন ট্রেন চলাচল কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে ইঞ্জিন সংকট ও কুয়াশার কারণে। দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো আমরা।’

চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে পাহাড়িকা ট্রেনটি সিলেটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায় বিকেল ৫টায়। একইভাবে আগের দিন রাতের চট্টগ্রাম-সিলেটগামী উদয়ন ট্রেন ছেড়ে যায় রাত সাড়ে তিনটায়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মহানগর প্রভাতীও ছেড়ে যায় তিন ঘণ্টা দেরিতেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top