সকল মেনু

ট্র্যাফিক জ্যামে বসে থেকে বিরক্ত? জেনে নিন বিরক্তি মুক্তির ৫টি উপায়

সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশে রওনা দিতে অনীহার অন্যতম প্রধান কারন ট্র্যাফিক জ্যাম। দিন শেষে বাসার উদ্দেশে রওনা দিলেও পরতে হয় ট্র্যাফিক জ্যামের ভোগান্তিতে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে যারা থাকেন তাদের জন্য সবচেয়ে বিরক্তিকর যন্ত্রণার নাম হলো ট্র্যাফিক জ্যাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থেকে শুরু করতে হয় দিন। সময়মত পৌঁছনো যায় না কোথাও। অনেকেই বিরক্তি ও সময়মত না পৌছনোর চিন্তায় মানসিক চাপে পড়ে থাকেন। অনেকেই গাল-মন্দ করতে থাকেন দেশের প্রশাসনকে। কিন্তু মূল সমস্যা তো আমাদেরই। নিয়মিত ট্র্যাফিক সিগন্যাল না মানা, ওভারটেক করার প্রবণতা, অনেক বেশি মাত্রায় প্রাইভেট গাড়ির ব্যবহার ইত্যাদির কারনে ট্র্যাফিক জ্যাম দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। কিন্তু এইসব বন্ধ না করা পর্যন্ত আমাদের ভোগান্তির আসলেই মুক্তির কোন পথ নেই। কিন্তু ট্র্যাফিক জ্যামে বসে থেকে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার উপায় আছে। জানতে চান কিভাবে? দেখে নিন আমাদের আজকের লেখা।

বই কিংবা পত্রিকা পড়ুন

ট্র্যাফিক জ্যামে পরে সময়ের চিন্তা করাটা শুধুমাত্রই মানসিক চাপ নেয়া। এর চাইতে নিজের মনোযোগ রাস্তা থেকে কিছুটা সরিয়ে নিয়ে মনোযোগ দিন একটি বই কিংবা পত্রিকার পাতায়। সাথে একটি বই রাখুন। মজার কোন বই হলে ভালো হয়। এছাড়া বাসে কিংবা রাস্তায় অনেককেই পত্রিকা বিক্রি করতে দেখা যায়। একটি পত্রিকা কিনে নিয়ে পড়তে থাকুন। দেখবেন জ্যামে বসে থাকার সময় দ্রুত পার হয়ে যাচ্ছে।

ঘুমিয়ে নিন

অনেকেই আছেন যারা কর্মক্ষেত্রে সময়মত পৌছনোর জন্য অনেক কম ঘুমিয়ে ভোরে উঠে রওনা দিয়ে থাকেন। এবং ট্র্যাফিক জ্যামে বসে থেকে ঘুম ঘুম ভাব চলেই আসে। তাই জ্যামে বসে চিন্তা করা ও বিরক্ত বাদ দিয়ে একটু ঘুমিয়ে নিন। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। নিজের জিনিষপত্র একটু সামলে রেখেই ঘুমুতে পারবেন।

গান শুনুন

গান এমন একটি জিনিষ যা যে কোন সময় যে কোন ধরনের মানসিক চাপ কিংবা বিরক্তি দূর করতে সাহায্য করে। সাথে তো মোবাইল ফোন থাকেই। এতে রাখুন পছন্দের কিছু গান ও একটি হেডফোন। জ্যামে বসে গান শুনতে থাকুন। চিন্তা করা বাদ দিন।

কিছুটা কাজ সেরে নিন

সময়ের মূল্য অনেক বেশি। অনেকেই জ্যামে বসে নিজের কাজ নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন। অনেকেই অফিসে বসে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেটে কাজ করে থাকেন। সাথে যদি ল্যাপটপ ও মডেম থাকে তবে তা দিয়ে জরুরী কাজ গুলো সেরে ফেলুন। আজকাল এভাবে অনেকেই জ্যামে বসে থাকার সময়টুকু কাজে লাগান। যদি ফোনে কাজের নির্দেশনা দিতে পারেন তো তাও করে ফেলতে পারেন। এতে কাজ এগিয়ে থাকবে।

জীবন নিয়ে খানিকটা ভাবুন

অনেকেই আছেন যারা সারাদিনে চিন্তা ভাবনা করার জন্য কোন সময় পান না। আর এভাবেই পার হয়ে যায় দিনের পর দিন। মনে করুন ট্র্যাফিক জ্যাম আপনাকে কিছুটা সময় দিয়েছে চিন্তা ভাবনা করার জন্য। যে কোন ধরনের চিন্তা করতে পারেন আপনি। শুধুমাত্র আপনাকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে হবে ট্র্যাফিক জ্যাম থেকে। সুখদুঃখের স্মৃতি ভাবতে পারেন। কিংবা ভবিষ্যতে কি কি করতে চান তা নিয়ে চিন্তা করে পার করে দিন ট্র্যাফিক জ্যামে বসে থাকার সময়টুকু। বিরক্তিবোধ করার সময় পাবেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top