সকল মেনু

শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন, প্রথমে লাভের মুখ দেখলেও পরে লোকসান

 মো. আমিররুজ্জামান, নীলফামারী ০৭ ফেব্র“য়ারি : নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় এবারে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন  ইউনিয়নের গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি চাষিরা অধিক মুনাফার আশায় চলতি শীত  মৌসুমে ব্যাপক হারে নানা রকমের সবজির চাষ করলেও দাম না থাকায় ওই সব সবজি এখন চাষিদের গলার  কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ফলন ভালো হলেও সবজি বর্তমানে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। চাষিরা বলছেন, উৎপাদনের শুরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকায় আগাম উৎপাদিত সবজি সময়মতো বিক্রি না হওয়ায় স্থানীয় বাজারে সয়লাব হয়েছে। অপরদিকে বেশি লাভের আশায় বাড়ির আনাচে-কানাচে ব্যাপকহারে চাষকৃত সবজিতে ভরে গেছে সৈয়দপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন। চলতি মৌসুমে নানা ধরণের সবজি যেমন- করলা, গাঁজর, ধনেপাতা, শষা, লাউ, লাল শাক, পালং শাক, মুলা, আলু, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম প্রভৃতি চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে সবজির ভালো দাম থাকলেও বর্তমানে সবজির দাম নেই  বললেই চলে। উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের চাষি সোহরাব, বড়দহ গ্রামের চাষি তৈয়ব আলী, মাঝাপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথসহ অনেকে জানান, প্রতি মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয় আমাদের এই ইউনিয়নে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মৌসুমের শুরুতে সবজির দাম পেলেও ভরা মৌসুমে সবজির দাম কমে যায়। এতে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার সবজি নষ্ট হয়ে যায়। মৌসুমে  শুধু আলু ছাড়া আর কোনো সবজি সংরক্ষণ করার উপায় থাকে না। ফলে চাষিদের উৎপাদিত সবজি নষ্ট  হয়ে যায়। ওই সব সবজি সংরক্সণের ব্যবস্থা করা হলে চাষির উন্নয়নসহ কৃষি অর্থনতির উন্নয়ন হতো। চাষিরা কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন, শীতকালীন সবজি রফতানি ও সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top