সকল মেনু

সৈয়দপুরে রোটা ভাইরাসের সহস্রাধিক শিশু আক্রান্ত

 মো. আমিররুজ্জামান, নীলফামারী ০৪ ফেব্র“য়ারি :  শীতের শেষে হিমালয়ের পাদদেশীয় অঞ্চল নীলফামারীর সৈয়দপুরে এখন বইছে শীতল হাওয়া। দিনের
অর্ধেক সময় সূর্যের দেখা না মিললেও তাপমাত্রা তেমন কমেনি। তবে একটানা ঠান্ডা বাতাসের কারণে এ জনপদে ছড়িয়ে পড়েছে রোটা ভাইরাস জীবানু। এটি পানিবাহিত হলেও বর্তমানে এ ভাইরাসের কবলে পড়ে সহস্রাধিক নবজাতক ও শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর ৩ থেকে ৫ দিনেও আরোগ্য না মেলায় আক্রান্তদের নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয়ের কিছু নেই। পর্যাপ্ত  যতœ ও নির্দেশিত চিকিৎসা নিয়মিত হলে ৫ থেকে ৭ দিনেই এই ভাইরাসের প্রকোপ সেরে  যায়। পাশাপাশি এর তীব্রতা বাড়লে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ১০দিন ধরে এ উপজেলার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৯-১০ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছে। দিনে ও রাতে হিমেল হাওয়া আর শেষ বিকেলে সূর্যের দেখা মিললেও তাপের উত্তাপ নেই। তবে শীতের এ শেষ কোন ধরণের বিপর্যয়ের আশংকা নেই বলে জানান এ আবহাওয়া  অধিদপ্তরের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান। তাপমাত্রার এ পরিমাপকে সংশ্লি ষ্টরা স্বাভাবিক মনে করলেও  একটানা ঠান্ডা বাতাসের কারণে রোটা ভাইরাসের কবলে পড়েছে এ জনপদের শিশু ও নবজাতক।  হাসপাতালে গিয়ে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর অভিভাবকের সাথে বললে তারা জানান, ঘন ঘন  পাতলা পায়খানা ও বমির কারণে ৩ থেকে ৫দিন চিকিৎসার পরও সুস্থ্য না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছি। গত ১০ দিনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ শতাধিক শিশু বহির্বিভাগে এবং আন্ত:বিভাগে প্রায় আড়াই শতাধিক শিশু ও নবজাতক চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সকলে সুস্থ্য হয়ে ফিরেছেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সৈয়দপুর ১শ’ শয্যা হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াসিম বারি জয় বলেন, এ ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নেয়ার পর ২ থেকে ৩দিন গত হওয়ার পর মুমূর্ষ অবস্থায় এখানেআসে। তাই অনেক যত্ন  সহকারে পরীক্ষা-
নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি আমরা। তবে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাথমিক  অবস্থায় এ হাসপাতালে আসলে এর আরোগ্য দ্রুত সম্ভব। এনিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সহকারি অধ্যাপক ডা. আবু আহমেদ মর্তুজা জানান, ভয়ের কিছু  নেই। এ ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ভাল। বাড়তি যত্ন ও  নির্দেশমত ওষুধের পাশাপাশি খাওয়ার স্যালাইন খাওয়ালে দ্রুত আরোগ্য সম্ভব। তবে যেহেতেু  শীতল আবহাওয়াজনিত এ ভাইরানের আবির্ভাব তাই এ আবহাওয়া কেটে গেলে এর প্রকোপ আর  থাকবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top