সকল মেনু

বগুড়ার পল্লীতে উন্নত ধান বীজ উৎপাদন

 জেলা প্রতিবেদক, বগুড়া, ৪ ফেব্রুয়ারি : পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলার পল্লীতে উন্নত মানের ধানের বীজ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের জমি পত্তনী নিয়ে তাদের দিয়েই শুরু হয়েছে এই উন্নত ধান বীজ উৎপাদন। এতে কৃষকরা পত্তনীর টাকা ছাড়াও দিন হাজিরার টাকা যেমন পাচ্ছেন, তেমনিভাবে হাতে কলমে শিখতে পারছেন বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়া। সরকারের সঙ্গে এসিআই যৌথভাবে শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের আমইন গ্রামে গত বছর থেকে ৩ মাস মেয়াদী পত্তনী জমি নিয়ে উন্নত ধান বীজ উৎপাদন শুরু করে। স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে বীজ উৎপাদন করায় কৃষকরাও এই প্রক্রিয়াটি রপ্ত করতে পারছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছর থেকে স্থানীয় কৃষকরা নিজেই বীজ উৎপাদন করতে পারবে। দেখা যায়, আমইন গ্রামের ওই মাঠ নিয়মিত পরিদর্শন করছেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ। এরা হলেন এসিআই এগ্রিবিজনেস‘র নির্বাহি পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী, ইরি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. পল ফব্স, আইএফসি‘র প্রতিনিধি মৃণাল কে সরকার, বিনিয়োগ কর্মকর্তা ফিলিপ ফারেনহোল্টজ্, ব্রি‘র মহাপরিচালক জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস প্রমুখ।
ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, সারা দেশে উন্নতমানের (হাইব্রিড) বীজ এবং কৃষি জ্ঞানের বিস্তারের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে শেরপুরের মাঠে ধান বীজ উৎপাদন শুরু হয়েছে। উন্নত মানের বীজ উৎপাদনের ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হবেন, তেমনি দেশেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে।
কৃষক মোত্তালেব জানান, পরবর্তী বছরে নিজেরাই উন্নত মানের বীজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন। এতে করে কৃষিতে আরেক ধাপ বিপ্লব ঘটবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top