সকল মেনু

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের রায় এ মাসেই, ফিক্সিংয়ে অভিযুক্তরা

 স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা, ৪ ফেব্রুয়ারি :  ক্রিকেট যখন তার চিরচেনা গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসে তখন কিছু পথভ্রষ্ট মানুষের হাত ধরে ব্যাবসায়িক পথে হাঁটতে শুরু করে। যখনই ক্রিকেট ব্যবসায়ের উপকরণে পরিণত হয় তখন থেকেই সুযোগ তৈরি হয় ম্যাচ ফিক্সিংয়ের। ফিক্সিংয়ের দ্বার সবচেয়ে বেশি উন্মুক্ত হয়েছে দুই মিনিটে ম্যাগি নুডুলসের মতো ভেল্কি ক্রিকেট টি-২০ এর মাধ্যমে। টি-২০ ম্যাচ খেলতে অল্প সময় লাগলেও এর মাধ্যমে বাজিকররা সবচেয়ে বেশি লাভবান হন। কাড়ি কাড়ি টাকার লোভ তাদের শক্তিশালী চুম্বকের মতো টেনে আনে টি-২০ ম্যাচে। নানাভাবে প্রলোভিত এবং প্ররোচিত করে খেলোয়াড়দের পা দিতে বাধ্য করে দুর্নীতির এবং অন্যায়ের অন্ধকার জগতে। সেই থাবা থেকে রেহাই পায়নি জনপ্রিয় টি-২০ আসর বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ)। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ভয়াল থাবায় আজ লণ্ডভণ্ড-বিপিএল।
তবে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে যারা যারা জড়িত ছিল তাদের শুনানি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তাই চলতি মাসেই আসতে যাচ্ছে মামলার রায়। ক্রিকইনফো জানিয়েছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে (সম্ভাব্য ২৬ ও ২৭) ম্যাচ পাতানো মামলার রায় পড়া হতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষকে চূড়ান্ত যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হবে। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মামলায় রায় পড়ে শোনাবে। ম্যাচ পাতানো মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। গুলশানে স্থাপিত ট্রাইবুনালে অভিযুক্ত ৯ জনই হাজির হয়েছিল। প্রথম দিন হাজির হন ড্যারেন স্টিভান। পরবর্তীতে মোহাম্মদ আশরাফুল, মোশাররফ হোসেন রুবেল এবং অন্যান্যরা হাজির হন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধানের ৬ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখিত দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা হবে। অভিযুক্ত ৯ জনের সাতজন সরাসরি ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সবকিছু জেনেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ না করায় বাকি দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে ২০১৩ সালের মে মাসে। তখন বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের একজন খেলোয়াড়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আইসিসি। ২০১৩ সালের জুন মাসে আশরাফুল ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেন। এরপরই গেল আগস্ট মাসে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার ৬ জনই ছিল ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের। তাদের বিচারের লক্ষ্যে পরবর্তীতে গঠিত হয় ট্রাইব্যুনাল। আর এই ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যে মামলার সবকিছু শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। আগামী ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা হতে পারে মামলার রায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top