সকল মেনু

হল ত্যাগ রাবি শিক্ষার্থীদের

 মেহেদী হাসান, রাবি, ৩ ফেব্রুয়ারি :  শীতের সকালে তীব্র কুয়াশার মধ্যেই আবাসিক হল ত্যাগ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সকল শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষোভ নিয়ে সকালে শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে চলে যেতে দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়তে বলা হয়। ভোর থেকেই শিক্ষার্থীরা হলে হলে রাবি উপাচার্য বিরোধী মিছিল করতে করতে হল ত্যাগ করেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের সর্বত্রই ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে প্রথমদিকে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল না ছাড়ার ঘোষণা দিলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের হিংস্র মনোভাবের কথা চিন্তা করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরপত্তার স্বার্থে পুনরায় হল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে রোববার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলার ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক খালেকুজ্জামানকে সভাপতি ও রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হককে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম ও অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানান জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন। উল্লেখ্য, বর্ধিত ফি প্রত্যাহার ও চালুকৃত সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স কোর্স বন্ধের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। ৩০ জানুয়রি থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট শুরু হয়। ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের কয়েকজন ক্যাডার বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। একই সময় অ্যাকশনে নামে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। তারা অতর্কিতভাবে টিয়ারশেল ও বাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের রাবার বুলেটের আঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে ২৭ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top