সকল মেনু

মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বুয়েট ছাত্রী আহত; সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড়ে একটি  মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আনিকা তাস আনিকা তাসনিম আঁখি (২২) আহত ঘটনায় সকালে বুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস চত্বরে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে। ঘটনার পরপরই বুয়েট শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড় সংলগ্ন লালবাগ, আজিমপুর, নিলক্ষেত, জাতীয় শহীদ মিনার সড়ক অবরোধ করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হন বুয়েট আর্কিটেকচার বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তাসমিন  আঁখি। তাকে উদ্ধার করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল সুত্র জানায়, তার শরীরে বড় ধরনের চোট লেগেছে। পুরো সুস্থ হতে সময় লাগবে তবে আশঙ্কামুক্ত। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সকালে ধানমন্ডি বাসা থেকে তাসনিম রিকসাযোগে বুয়েট ক্যাম্পাসে আসার সময় পথিমধ্যে  পলাশী পাঁচ রাস্তা মোড়ে দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস পিছন থেকে তার বহনকারী রিকসাকে সজরে ধাক্কা মারে। এ ঘটনায় রাস্তার উপড়ে ছিটকে পড়ে বুয়েট ছাত্রী গুরুত্বর আহত হন। এ সময় পথচারীদের সহযোগীতায় ক্যাম্পাসের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা  মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। নিলক্ষেত এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী শাহেদ আলম জানান, সকালে তিনি ব্যবসার কাজে বাসা থেকে বের হয়ে পলাশী মোড়ে রিকসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময়  মাইক্রোবাসাটি বুয়েট ছাত্রীর রিকসাকে ধাক্কা মারলে ওই রিকসা উল্টে যায়। এ ঘটনার পর মাইক্রোবাস চালক ঘটনাস্থল থেকে পালাবার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি রিকসা ও অপর একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয় বলে তিনি জানান। এ দিকে মাইক্রোবাসের আঘাতে  বুয়েট ছাত্রীর গুরুত্বর আহত ক্যাম্পাসে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তীব্র  উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পলাশী প্রবেশের সকল  রাস্তায় বাশ, বেঞ্চ দিয়ে অবরোধ করেন। তারা মাইক্রোবাসটি ভাংচুর করার পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেন। তারা একটি প্রাইভেটকার ভাংচুরসহ রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু বিচারে দ্রুত পদক্ষেপের পাশাপাশি বুয়েট ক্যাম্পাস এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে পলাশীর মোড়ে স্পিড ব্রেকার নির্মাণের দাবিসহ ক্যাম্পাসে দ্রুত গতিতে যানবাহন চলাচল না করার দাবী জানান। এর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। আহত ছাত্রীর মা রিফাত আরা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে  প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্ত বাস্তবমুখী কোন পদক্ষেপ কেউ গ্রহণ করছে না। তার মেয়ে দ্বীতিয় জীবন ফিরে পেয়েছেন বলে  তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। জানা গেছে, তাসনিন পিতা ডাঃ আব্দুল  হামিদ মহাখালী যক্ষা হাসপাতালে কর্মরত। তার বড় ভাই মোহসিনও একজন  ডাক্তার। তারা এক ভাই এক বোন। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে। তাসনিন  ধানমন্ডি ১ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গে থাকেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top