শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: জাহাঙ্গীর আলম, দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান ও অলি আহমেদ। এরা চারজনই দিনমজুর। তিনজনের বয়স আবার ৫০-এর উপরে। বয়সে প্রবীণ হলে কি হবে, মনের দিক দিয়ে নবীন। এদের কর্মস্পৃহা দেখলে ৮০ বছরের বৃদ্ধেরও মন সজিব হয়ে উঠবে। দেশ গঠনে তরুণরা পাবে অনুপ্রেরণা।দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে ফরিদগঞ্জের চতুরা টু গাব্দেরগাঁও সড়কটি। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। চলাচল করে অনেক যানবাহন। অথচ মেয়র মহোদয়ের নজর পড়ছে না রাস্তাটির দিকে। মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে ওরা চারজন মাটি কাটার টুকরি আর কোদাল নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। পাশের ধান ক্ষেত থেকে মাটি কেটে রাস্তার গর্ত ভরাট করতে থাকেন। তাদেরই একজন অলি আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেয়র সাহেব আমাদেরকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। তাই রাস্তার কাজে নিজেরাই নেমে পড়েছি। জানা গেছে, সাবেক এমপি ও পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণে এ সড়কটির উন্নয়ন হয়নি।ফরিদগঞ্জ পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চতুরা টু গাব্দেরগাঁও সড়ক। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের অত্যন্ত ব্যস্ত ওই সড়কটি স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও পাকা হয়নি। অথচ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলাচল করে। রাস্তার দূরবস্থার চিত্র নিয়ে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে অনেক লেখালেখি হয়েছে। অথচ মেয়র এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাতই করছেন না। বড়ালী, গাব্দেরগাঁও, বদরপুরবাসীর প্রাণের দাবি এ রাস্তাটির সংস্কার ও উন্নয়ন করা হোক। ফরিদগঞ্জ বাজারের অনেক ব্যবসায়ীর বাস এ এলাকাগুলোতে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তাদের বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। এ্যাবড়ো-থ্যাবড়ো রাস্তা দিয়ে তাদের যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। বর্ষাকালে তাদের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ তাদের টেক্স দিয়ে যেতে হয় পৌরসভাকে। পৌরসভার অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকা করা হয়েছে যেখান দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, মানুষেরও চলাচল নেই। অথচ একাধিক অতি গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি এখনো কাঁচাই রয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।