সকল মেনু

বাণিজ্য মেলায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ভ্যাট প্রদানে শীর্ষে ওয়ালটন

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট আদায়ের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায়  রয়েছে। মেলার ১৬ তম দিন পর্যন্ত ভ্যাট (ভ্যালু এ্যাডেড ট্যাক্স বা মূল্য সংযোজন কর) আদায় হয়েছে ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে দেশীয় ইলেক্ট্রোনিক্স ও অটোমোবাইল প্রস্তুত এবং বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন প্রায় ৩ লাখ টাকা ভ্যাট প্রদান করেছে। যা একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ।কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, ভ্যাট আদায়ের এ প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক। মেলায় এবার স্টল সংখ্যা কম হলেও শেষদিন পর্যন্ত ভ্যাট আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণ হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ছোট ও মাঝারিমানের স্টলগুলো পণ্যবিক্রির ওপর ক্রেতাদের কাছ থেকে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভ্যাট আদায় করছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর তাগিদ দেয়া সত্বেও ম্যানুয়াল পদ্ধতি অনুসরণ করায় এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ইসিআর মেশিন ও সফটওয়্যার বা পস পদ্ধতিতে ভ্যাট কাটছেন। এতে করে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভ্যাট আদায় ও প্রদানে স্বচ্ছতা রয়েছে বলে মনে করছেন মেলায় দায়িত্ব পালনকারী সহকারী কাস্টমস কর্মকতা বীনা রানী চৌধুরী। জানা গেছে, গতবছর বানিজ্য মেলায় মোট ভ্যাট আদায় হয়েছিল ১ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ২০৫ টাকা। এ বছর ১৬ দিনে মোট আদায় হয়েছে ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৯ টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ওয়ালটন, এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফিট এ্যালিগ্যান্স ২ লাখ ৩ হাজার ৪৪০ টাকা। তৃতীয় ব্র্যাক এন্টার প্রাইজ ৯৭ হাজার ৫৪৩ টাকা এবং চতুর্থ সনি র‌্যাংগস; তাদের দেয়া ভ্যাটের পরিমান ৯০ হাজার টাকা। মেলায় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায়কারী সোনালী ব্যাংকের প্যাভিলিয়ন ম্যানেজার মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে মেলা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিলো। ফলে সার্বিক বেচাবিক্রি প্রথম পর্যায়ে কম ছিলো। পরে বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, মেলা এখন পুরো দমে চলছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীর সঙ্গে বিক্রিও ব্যাপক বেড়েছে। যে সংকটের কারনে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনিশচয়তা দেখা দিয়েছিলো তা-ও কেটে কেছে। মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দেশীয় পণ্যের প্রতি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেশি। ইলেক্ট্রোনিক্স পণ্যের মধ্যে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে ওয়ালটনের স্মার্ট মোবাইল, এলইডি টিভি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ ও বিভিন্ন  আইটেমের গৃহস্থালী ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। ওয়ালটনের প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ আকরামুজ্জামান অপু জানান, পরপর কয়েক বছর মেলাতে সেরা করদাতার পুরষ্কার পেয়েছে ওয়ালঠন। সেই সম্মান ধরে রাখতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি এবছরও আমরা সরকারকে সর্বোচ্চ ভ্যাট দিতে পারব। উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আয়োজিত এই বানিজ্য মেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলা চলছে প্রতিদিন সকাল ১০টাথেকে রাত ১০টা পর্যন্ত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top