সকল মেনু

নীলফামারীর অসহায় জাহিরা এখন কুটির শিল্প উদ্যোক্তা

মো. আমিররুজ্জামান, নীলফামারী ২৭ জানুয়ারি : নীলফামারীর জাহিরা বেগম (৩০)-এর বিয়ে হয় অল্প বয়সে। দরিদ্র কন্যা দায়গ্রস্থ পিতা অল্প বয়সে মেয়ের
বিয়ে দেন দিন মজুর সাইফুল ইসলামের সাথে। বিয়ের পর থেকে জাহিরা সংসারে সুখের দেখা পায়নি। স্বামী-সন্তান ও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে দুখে ছিল জাহিরা বেগম। তার প্রবল ইচ্ছে শক্তি ও মনোবল ছিল যে, সে দারিদ্র দুষ্টচক্র থেকে বের হবে। কিন্ত পথ পাচ্ছিল না। এসময় আরডিআরএস বাংলাদেশ’র তিন হাজার টাকা ঋন নিয়ে দেশী মুরগি পালন শুরু করে। পরবর্তীতে মুরগি বিক্রি করে ঋনের টাকা শোধ করে। এরপর লাভের টাকার সাথে আরও ৮ হাজার টাকা ঋন নিয়ে পানের দোকান দেয়। এরপর সে ৪৫ দিনের ম্যাটমেকিং ট্রেনিং নেয়ার পর ম্যাট তৈরি ও বিক্রির ব্যবসা করছে। তার হাত ধরে এলাকার আরও ৭৫ জন অতিদরিদ্র মহিলা ম্যাট তৈরি কাজ করছে। এ কাজে জয়া বেগম, শিউলি আকতার, মোর্শেদা বেগম, মারুফা আকতার ও সাবিনা ইসলামের কাজ চোখে পড়ার মতো। এসব ম্যাট নীলফামারী ছাড়াও দেশের গন্ডি পেরিয়ে রফতানি হচ্ছে কানাডা, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতেও। জাহিরা বেগম জানান, যখন একাজে জড়িত ছিলাম না তখন নানা সমস্যা লেগেই ছিল। স্বামীর একার উপার্জনে অভাব অনটন থাকার পাশাপাশি সময়টা যেন বসে থেকে কেটে যেত। নিজের উপার্জনের মাধ্যমে আমি এখন ৩ বিঘা জমি বন্দক নিয়েছি। বাজারে নিজস্ব দোকান ক্রয় করেছি। সমাজের সব মহিলাই যদি এভাবে নিজেকে উন্নয়নে সম্পৃক্ত করে তাহলে গরীব মানুষগুলোর পরিবারে দু:খ-কষ্ট থাকবে না, বরং শান্তি ফিরে  আসবে একথা বললেন জাহিরার শ্বশুর তহিদুর ইসলাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top