সকল মেনু

২৩২ রানে থামলো টাইগাররা;

 আফিফা জামান, মিরপুর থেকে, ২৭ জানুয়ারি:  সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান এসেছে সাকিবের ব্যাট থেকে। তবে ইনিংসের শুরুটা ভালোই করে টাইগাররা। তামিম ও অভিষিক্ত শামসুর রহমান শুভ। ৩৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গার পর ৫ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরত আসেন টপ অর্ডারের আরো দুই ব্যাটসম্যান। প্রথমে ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ইরাঙ্গার বলে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ দেন তিনি। একই রানে একটি জীবনও পেয়েছিলেন তামিম। শর্ট লেগে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন কৌশল সিলভা। তিন নম্বরে নামা মার্শাল ১ রানে ম্যাথুসের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হন। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা শামসুর রহমান শুভ নিজের ব্যাটিং প্রতিভা দেখান। দলীয় ৪০ রানে ইরাঙ্গার বলে গালিতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৪ বলে ৭ চারে তিনি ৩৩ রান করেন। ৭১তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পড়েন শামসুর রহমান শুভ। এরপর দলীয় ৫৯ রানে মুমিনুল (৮) লাকমলের বলে ভিথায়াঙ্গেকে শর্ট স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন। ৫৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঘুরে দাড়ায় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে মুশফিকের সাথে ৮৬ রানের জুটি গড়েন বিশ্বসেরা সাকিব। মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্রুত অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ৮৪ বলে অর্ধশতক তুলে নেবার পর আর ইনিংসটি বড় করতে পারেনি সাকিব। ৯১ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে স্পিনার হেরাথের বলে এলবিডাব্লিউর শিকার হন মাগুড়ার এই তারকা । ১৩০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৯টি চারে ৫৫ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি। সাকিবের পর ৪ রান যোগ করে চান্দিমালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিওে যান নাসির হোসেনও। বোলার ছিলেন ইরাঙ্গা। সপ্তম উইকেটে আবারো প্রতিরোধ গড়েন মুশফিক। এবার তাকে সঙ্গ দেন সোহাগ গাজী। এই জুটি ভাঙ্গেন পেসাল লাকমাল।  দলীয় ২০৩ রানে লাকমালের বলে এলবিডাব্লিউ’র শিকার হয়ে ৬১ রানে সাজঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। ১২২ বলে ৯ চারে মুশফিক তার ৬১ রানের ইনিংসটি সাজান। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৩তম অর্ধশতক।  মুশফিকের বিদায়ের পর সোহাগও তার ইনিংসটি বড় করতে পারেনি। ৫৬ বলে ৪২ রান করে গাজী লাকমালের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। ২১৯ রানে অষ্টম উইকেট হারালে বড় স্কোর করার সম্ভাবনা হারায় বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রবিউল ইরাঙ্গার শিকার হলে ২৩২ রানে আটকে যায় টিম বাংলাদেশ। আল আমিন হোসেন ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। লঙ্কানদের হয়ে পেসার ইরাঙ্গা ৪টি ও লাকমাল ৩টি উইকেট নেন। ২টি নেন স্পিনার হেরাথ। ১ উইকেট দখলে নেন ম্যাথুস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top