সকল মেনু

অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে জমজমাট বাণিজ্য মেলা: ওয়ালটন প্যাভেলিয়নে দর্শনার্থীদের ভিড়

 অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দর্শনার্থীদের পদচারণায় জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মেলার ১৪ তম দিনে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকায় স্বঃতফুর্তভাবে মেলায় অংশ নিচ্ছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। আর ক্রেতাদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে হাঁসি ফুটতে শুরু করেছে বিক্রেতাদের মুখে। বিক্রেতারা জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাণিজ্য মেলা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল তা এখন একেবারেই নেই। মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সমাগমই তা প্রমান করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, গতবছরের মতো এবারও ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবার নতুন ও আপকামিং পণ্যে ক্রেতাদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি বলে জানান তারা। গতকাল শুক্রবার বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর থেকেই মেলার প্রধান ফটক দিয়ে নামতে শুরু করে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ঢল। টিকেট বিক্রি এবং মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। মেলার প্রধান ফটকের সামনে ভেতরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষমান দর্শনার্থী শাকিল আহমেদ জানান, বন্ধের দিন তাই স্ব-পরিবারেই মেলায় এসেছি। তিনি জানান, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। তাই মেলায় আসতেও কোনো বাঁধা নেই। নির্ভয়ে এসেছি। পরিবারের সবাই মিলে ঘুরবো সব মিলিয়ে খুবই ভালো একটি দিন কাটবে। সময় যতই বাড়তে থাকে মেলার স্টলগুলোতে বাড়তে থাকে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভীড়। মেলার প্রধান ফটক থেকে ভেতরে প্রবেশ করতেই সোজা চোখে পড়ে ওয়ালটনের দৃষ্টি নন্দন প্যাভেলিয়ন। প্যাভেলিয়নের সামনে বিশাল খোলা স্থানে ছিল অসংখ্য দর্শনার্থীদের সমাগম। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ফুল বাগানের সামনে ছবি তুলছেন আবার অনেকেই দু’পাশে বসে ক্লান্তি দুর করছেন। ওয়ালটন প্যাভেলিয়নে প্রবেশে করেও
দেখা মিলল একই দৃশ্যের। নিচ তলায় অত্যাধুনিক এলইডি এ্যান্ড্রুয়েড টেলিভিশন, বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের ফ্রিজ, ইলেক্ট্রনিক্সের অত্যাধুনিক গৃহস্থলি পণ্য সামগ্রী, আপকামিং ১৫০ সিসি স্পিডো এবং ভাইপার ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল ঘুরে ঘুরে দেখছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। আর দ্বিতীয় তলায় রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ৩৫টি মডেলের থ্রিজি স্মাট মোবাইল ফোন, ১২ টি মডেলের মোটরসাইকেল, অসংখ্য মডেলেরর ফ্রিজ দেখেন দর্শনার্থীরা। ওয়ালটন প্যাভেলিয়নে আসা ক্রেতা তানজিলা
ইয়াস মিন জানান, মেলায় এসেছি নতুন মডেলের পণ্য দেখতে। বিশেষ করে ওয়ালটনকেই টার্গেট করে এসেছি। ছোট বোনের জন্য একটি মোবাইল ফোটসেট কিনেছি। আর আর একটি আপকামিং সেট দেখে গেলাম বাজারে এলে অবশ্যই কিনবো। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবির বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতাকে কেন্দ্র করে বাণিজ্য মেলা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে অনিশ্চয়তা ছিল তা পুরোপুরি কেটে গেছে। মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের সমাগমই তা প্রমাণ করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা, সামর্থ ও রুচির কথা বিবেচনা করে ওয়ালটন সব সময়ই নতুন নতুন পণ্য বাজারে আনছে। এবং এর ধারাবাহিকতা
অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যে ৫ থেকে ৭ শতাংশ এবং মোবাইল ফোনে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ ছাড় দেয়া হচ্ছে।  এছাড়া বাণিজ্য মেলার এবার নতুন মডেলের মোটরসাইকেল এনেছে ডায়াং-রানার। মেলার ২২ নম্বর প্যাভেলিয়নের প্রায় ১৪টি মডেলের মোটরসাইকেল নিয়ে হাজির হয়েছে দেশীয় কোম্পানি রানার। রানার প্যাভেলিয়নের বিক্রয় প্রতিনিধি আলেক খন্দকার বলেন, টার্বো-১৫০ সিসি মোটরসাইকেলটি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এছাড়াও ফ্রিডোম এলএমএল ১১০ সিসিও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সনি র‌্যাংগস প্যাভেলিয়নের ইনচার্জ সারোয়ার জাহান জানান, সনি র‌্যাংগসও ক্রেদাদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিভিন্ন নতুন মডেলের পণ্য মেলায় এনেছে। তিনি বলেন, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমগাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেচা-বিক্রিও বাড়ছে। আকতার পার্ণিচারের ডিজিএম মো: তাজুল ইসলাম বলেন, এবার বাণিজ্য মেলায় আকতার ফার্নিচার অফিস, হাউজ হোল্ড, ফোম মেট্রিক্সের নতুন ৫০টি পণ্য এনেছে। মেলা সহ সারা দেশে প্রতিটি পণ্যে ১৫ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে। তবে এ ছাড় মেলা লচাকালীন সময়  পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের মোটরবাইক বিক্রয় কর্মী মির্জা সবুজ জানান, বাণিজ্য মেলাসহ সারাদেশে ওয়ালটনের ১২টি মডেলের ও ভিভিন্ন ডিজাইনের ৮০ সিসি থেকে ১৫০ সিসি ব্র্যান্ডের মোটরবাইকের উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। দাম ধরা হয়েছে ৬৯ হাজার ৯০০ থেকে এক লাখ ২৯ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত (নতুন মডেলের দাম ছাড়া)। আপ-কামিং মডেল রয়েছে চারটি। এগুলো হচ্ছে-স্পিডো ১৫০ সিসি, ভাইপার ১২৫ সিসি, রেঞ্জার ১০০ সিসি, ও স্টাইলেক্স ১০০ সিসি। এছাড়া মোটরবাইকে এন্ট্রিথেপট লক ব্যবহার করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top