সকল মেনু

খুবির ৩৩ শিক্ষকের ৩০ জনেরই পদত্যাগ

 নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা, ২৩ জানুয়ারি :   খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালকসহ ৩৩ টি প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ৩০ জন শিক্ষক। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তারা এই পদত্যাগপত্র জমা দেন। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীনকে অপমান করার প্রতিবাদসহ দুই-তিনটি কারণ উল্লেখ করে তারা এই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, ছাত্রবিষয়ক সহকারী পরিচালক, হল প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন উপস্থিত হন।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রফেসর ড. মো. মোস্তফা সরোয়ার সভায় ড. আফরোজার অংশগ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তার উপস্থিতিতে সভা চলতে পারে না বলে দাবি করেন।
সভায় তিনি বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটে প্রায় দুই মাস আগে প্রফেসর আমিরুল মোমেনিন নামে একজন সিনিয়র প্রফেসর যোগদান করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী তাকে ইনস্টিটিউটের পরিচালক করার কথা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা করেনি। সে কারণে সভায় ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক উপস্থিত থাকতে পারেন না বলে দাবি করেন তিনি।
তখন উপাচার্যসহ একাডেমিক কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যরা চুপ ছিলেন বলে জানা গেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ড. আফরোজা বুধবার উপাচার্যের কাছে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এদিকে ড. আফরোজাকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অপমান করার প্রতিবাদে ৩৩টি প্রশাসনিক পদ থেকে ৩০ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ড. অনির্বাণ মোস্তফা বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে অপমান করার প্রতিবাদ এবং চারুকলাকে পূর্ণাঙ্গ ডিসিপ্লিন করতে বাধাদানের প্রতিবাদসহ তিন-চারটি কারণ উল্লেখ করে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যরাও একই কারণে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার বলেন, তিনি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যা বলেছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম এবং প্রাকটিস অনুযায়ী বলেছেন।

পদত্যাগকারী শিক্ষক প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন বলেন, উপাচার্যের উপস্থিতিতে এ ধরনের আচরণ কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, তার দপ্তরে কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তখন তিনি দপ্তরে ছিলেন না। রোববার ফাইল দেখে বলতে পারবেন কতজন এবং কি কারণে পদত্যাগ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ফায়েক উজ্জামান বলেন, কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। সমস্যা সমাধানের জন্য তারা চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top