সকল মেনু

স্কুল ছাত্র অপরহরনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রকে অপহরনের ৫ দিন পর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে লালমনিরহাট জেলার মোগল হাট থেকে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ কুড়িগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়সহ শহরের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কওে প্রতিবাদ করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুড়িগ্রাম শহরের হাসপাতাল পাড়ার মটরসাইকেল ব্যবসায়ী ইমরান মটরস্-র মালিক এরশাদুল হকের বড় ছেলে কুড়িগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র রায়হানকে (১৩) গত শনিবার খেলার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় নিজ বাসার ভাড়াটিয়া নজরুলের ছেলে কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাগর। পরদিন মোবাইলে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারীরা। দাবী অনুযায়ী সাড়ে চার লাখ টাকা দেয়ার পরেও আরো টাকা দাবী করে অপহরনকারীরা। দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় রায়হানকে হত্যা করে তারা। অপহরনের ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ওই বাসার ভাড়াটিয়া নজরুলের স্ত্রী ঝর্ণা ও ছেলে সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় এবং তাদের দেয়া তথ্য মতে বুধবার বিকালে লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট চর এলাকায় বালু চাপা অবস্থায় রায়হানের মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহষ্পতিবার রায়হানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় আত্মীয় স্বজন পরিবেষ্টিত তার মা বিউটি বেগম শোকে স্তব্ধ হয়ে আছেন। কারো সাথে কথা বলতে পারছেননা। বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন। আর বলছেন আমার বাবাকে এনেদাও। তার বাবা এরশাদুল জানান,
ছেলেকে বাঁচানোর জন্যই অনেক কষ্টে মুক্তিপণের টাকা জোগার করেও ছেলেকে ফেরত পায়নি। এভাবে অহপরণ করে হত্যা করা হবে ভাবেননি সে। লালমনিরহাটে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ কখন আসবে এই প্রতীক্ষায় স্বজনরা। এদিকে স্কুল ছাত্রকে অপহরণ করে হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির
দাবীতে বিক্ষোভ-মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে সহপাঠিরা। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়সহ শহরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা
শ্রেণীকক্ষ ত্যাগ করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শহরের ঘোষপাড়ায় ১ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় বক্তব্য রাখেন-রেজওয়ানুল হক, কামরুল ইসলাম, মারুফ, তামিম প্রমুখ। এছাড়া শোক প্রকাশ করে কুড়িগ্রাম শিশু নিকেতন স্কুলে বিশেষ মোনাজাত করে ছুটি দেয়া হয়। অপর দিকে হাসপাতাল পাড়ার অধিবাসীরা নির্মম এ হত্যা কান্ডের প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে দুপুরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে পৃথক দুটি স্মারক লিপি প্রদান করে।
সদর থানার ওসি মো: রুহানী পিপিএম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের  পরিচয় উদঘাটন করে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top