সকল মেনু

প্রধান মন্ত্রী ড. মনমোহনসিং-তোফায়েল বৈঠক

 কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি :  বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ শনিবার সকালে ভারতের প্রধান মন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসময়ে তিনি নব-নির্বাচিত সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভারতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এর আগে সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ভারতীয় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ভারত সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সার্ক বাণিজ্য মন্ত্রীদের শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেন তোফায়েল আহমেদ। পরে বেলা ১১টায় সার্কভূক্ত দেশসমূহের বাণিজ্য মন্ত্রীদের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তার বাসভবনে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ পর্বে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান দ্বিপক্ষীয় সমস্যাদি নিয়ে কথা বলেন। আলোচনায় যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় তা হচ্ছে উভয় দেশের ল্যান্ড-বাউন্ডারি সমস্যা সমাধানে ‘মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির’ বাস্তবায়ন। এবিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, ল্যান্ড-বাউন্ডারি সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ-ভারত সরকারের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অচিরেই লোকসভায় এবং রাজ্যসভায় পেশ করা হবে। দ্বিতীয়ত সার্কভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য সম্প্রসারণে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে ট্যারিফ, নন-ট্যারিফ বাধা অপসারণে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত সরকার তামাক এবং অ্যালকোহল বাদে অন্যান্য পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব বাস্তবায়নে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে তৎপর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে আলোচনাকালে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রীআনন্দ শর্মা এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী শিবশঙ্কর মেনন উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকাল ৩টায় ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রীআনন্দ শর্মা’র সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দ্বি-পাক্ষিক কিছু বিষয় তুলে ধরে বলেন, আমাদের ট্রেড ভলিউম বৃদ্ধির জন্য বাস্তবমূখী কর্মসূচী হাতে নিতে হবে। প্রযুক্তিকভাবে অগ্রসর ভারতবর্ষ ইতোমধ্যে বিএসটিআই-এর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করায় ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রের পশ্চাদপদতা কাটিয়ে উঠতে দুই দেশ সম্মিলিতভাবে কাজ করবে।

এছাড়াও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যাতে বাণিজ্যের সুবিধার্থে ভারতে অবস্থানের জন্য এক বছরের মাল্টিপল ভিসা পেতে পারেন সেজন্য জোর দাবী জানান তোফায়েল আহমেদ। শ্রী আনন্দ শর্মা এব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া প্রদান করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top