সকল মেনু

জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া-প্রধানমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ১২ জানুয়ারি :  জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো চাপের কাছেই মাথা নত করবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বঙ্গবভনে সাংবাদিকদের কাছে এই দৃঢ়তা প্রকাশ করেন তিনি। বেশ কয়েকটি দেশ নির্বাচন ও সরকার গঠন নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করার পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর দোয়া চেয়ে বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত দেশ।’ ফের জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়া বড় কথা নয়, জনগণের জন্য কাজ করাই বড় কথা।’ পরপর দুবার সরকার গঠন করতে পারায় সরকারের উন্নয়নকাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক সাংবাদিক। উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থন করবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের কূটনৈতিক সফলতা আছে বলে জানান তিনি। তিনি জানান, আগামী জুনেই মূল পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে, রায়ও কার্যকর হবে। এজন্য তিনি বিরোধী দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চান। এমনকি সরকার পরিচালনায়ও বিএনপিকে সঙ্গে নিতে প্রস্তুত তিনি। তিনি বলেন, তবে বিএনপিকে সকল জনবিরোধী ধ্বংসাত্মক কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে, প্রথমেই জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার শর্ত জুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলের সদস্যরা মন্ত্রিসভায় থাকায় ‘অভিনব’ ধরনের মন্ত্রিসভা হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঐকমত্যের সরকার ১৯৯৬ সালে হয়েছিল।’ সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারাই সবাইকে নিয়ে চলতে বলেন। আবার সবাইকে নিয়ে চলতে গেলে প্রশ্ন তোলেন।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বন্ধ করার ব্যাপারে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে মামলা চলছে। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা নিয়মিত পুনর্গঠন করা হবে। প্রয়োজনে ছিটমহল ও তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয় নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কথা বলবেন তিনি ।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে তার বক্তব্যে বলেন, ‘সবাই গণতন্ত্রের পথে থাকবেন, এটাই সরকারের আশা। গণতন্ত্র সুরক্ষায় যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন, আমরা নেব। আমরা চাই, বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top