সকল মেনু

প্রধান বিরোধীদল বিহীন সংসদ নির্বাচনী আমেজ নেই মৌলভীবাজার জেলার দুইটি নির্বাচনী আসনে

এম শাহজাহান আহমদ, মৌলভীবাজার:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাতে গোনা মাত্র কয়েকদিন থাকলেও প্রধান বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন অনেকটাই নিশ্চুপ রয়েছে মৌলভীবাজার জেলার দুইটি নির্বাচনী আসন । কোন আমেজ নেই এ দুটি আসনে।  দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার জেলার চারটি আসনের  মৌলভীবাজার-৩(মৌলভীবাজার সদর- রাজনগর) আসনে আওয়ামীলীগের সৈয়দ মহসীন আলী ও মৌলভীবাজার-৪(শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হলেও মৌলভীবাজার-১(বড়লেখা-জুড়ী) আসনে ও মৌলভীবাজার -০২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ আংশিক) আসনে একাধিক প্রার্থী থাকায় এ দুই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।  এই দুই আসনে ২জন করে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায়  অবতীর্ণ হয়েছেন।

BARLEKHA PIC(SHAHABUDDIN-MP) LITON SHARIF-1

BARLEKHA PIC(ahmed riaj ) LITON SHARIF -2

মৌলভীবাজার-১:
৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত দশম নির্বাচনে মৌলভীবাজার-১(বড়লেখা-জুড়ী) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনতি প্রার্থী সংসদ সদস্য মোঃ শাহাব উদ্দিন  ও জাতীয় পাটি(এরশাদ) আহমেদ রিয়াজ প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।  বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনতি প্রার্থী সংসদ সদস্য মোঃ শাহাব উদ্দিন ভোটের জন্য চষে বেড়ালেও  জাপা প্রার্থীর প্রচারনা  নেই বললে চলে।
দুবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোঃ শাহাব উদ্দিন আওয়ামীলীগের মনোনতি প্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নৌকা মার্কা ভোটের প্রচারনা চালাচ্ছেন। প্রতিদিনই বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় গনসংযোগ অব্যাহত রাখছেন। প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচনী মাঠে না থাকায় সহজে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নির্বাচনী বৈতরনী পার হবেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে , জাতীয় পাটি (এরশাদ) বড়লেখা উপজেলার একাংশের সভাপতি আহমেদ রিয়াজ লাঙ্গল মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অবর্তীর্ণ হলেও পাশে নেই দলের অধিকাংশ নেতা-কর্র্মীরা। বড়লেখা ও জুড়ী  উপজেলা জাপার (এরশাদ) দুই আহবায়ক এডভোকেট আফজল হোসেন ও এডভোকেট মাহববুল আলম শামীম জানান,‘জাপা প্রার্থী আহমেদ রিয়াজের সাথে আমাদের উভয়ের কোন সম্পর্ক নেই। ইতিমেেধ্য তাকে বড়লেখা উপজেলা জাতীয় পাটির সদস্য সচিব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সে (আহমেদ রিয়াজ) নিজেকে বড়লেখা উপজেলার জাতীয় পাটির সভাপতি হিসেবে দাবী করে নেতাকর্মীদের দ্বিধা-দ্বন্দে ফেলেছে।’
জুড়ী  উপজেলা জাপার  (এরশাদ) এডভোকেট মাহববুল আলম শামীম জানান, ‘দলের চেয়ারম্যান তাকে মৌলভীবাজার-১ আসনের জন্য মনোনয়ন দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন। মহাজোটের প্রার্থী সংসদ সদস্য মোঃ শাহাব উদ্দিনের সমর্থনে তিনি মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন।’

Kulaura PIC(Abdul Motin  ) LITON SHARIF-3 -KULAURA PIC-(pintu ) LITON SHARIF -4
মৌলভীবাজার-২:
মৌলভীবাজার -০২ (কুলাউড়া-কমলগঞ্জ আংশিক) আসনে  ২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।  নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই, নেই প্রচার-প্রচারণায়  গতি।  মৌলভীবাজার ০২ (কুলাউড়া -কমলগঞ্জ আংশিক) আসনে চুড়ান্ত লড়াইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী  কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল মতিন আনারস প্রতীকে ও মহাজোটের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহিবুল কাদের পিন্টু লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।  তিনি (মুহিবুল কাদের পিন্ট)ু  বহিরাগত হওয়ায় নির্বাচনী মাঠে সুবিধা করতে পারছেন। দুজনই ভোটারদের কাছে চাইছেন দোয়া আশীর্বাদ।
এ আসনে বিগত নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নবাব আলী আব্বাস নির্বাচিত হলে কেন্দ্রে জাপার ভাংঙ্গনে তিনি(নবাব আলী আব্বাস) জাফরের জাতীয় পাটিতে যোগদান করায়  মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহিবুল কাদের পিন্টু এরশাদের লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে অবর্তীর্ণ হন।  জোটের প্রধান শরীক আওয়ামী লীগের প্রার্থী পুলিশের সাবেক আইজি বজলুল করিম চৌধুরী ও জাতীয় পাটির প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহিবুল কাদের বাড়ী শ্রীমঙ্গল উপজেলায় স্থানীয় জাপা কিংবা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা পর্দার অন্তরালে বিরোধীতা করছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মতিন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। আওয়ামলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে  বিগত  উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
দুজনই প্রথমাবেরর মতো সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও স্থানীয় হওয়ায় নির্বাচনী বৈতরনী পারে আব্দুল মতিন অনেক সুবিধায় রয়েছেন। নির্বাচনে এখন দেখার পালা আসলে কি হচ্ছে? তবে শহর কিংবা গ্রামে কোথায়ও নির্বাচন নিয়ে মানুষের তেমন কোন আগ্রহ নেই।
রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান জানান, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ দুই আসনে প্রশাসনের উদ্দোগে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার সহ নির্বাচনী কর্মকতাদের প্রশিক্ষন ও সমাপ্ত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top