সকল মেনু

কুড়িগ্রামে বন্যা সহনশীল ধানবীজ সম্প্রসারণে জেলা কৃষক সমাবেশ

ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বন্যা, খরা ও শৈতপ্রবাহ সহনশীল নতুন জাতের ধানবীজ সম্প্রসারণে কৃষকদের সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদেও নিয়ে জেলা কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার দুপুরে সলিডারিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক প্রতীপ কুমার মন্ডল। বেসরকারি সংস্থা সলিডারিটি’র নির্বাহী পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ লালের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি বিভাগের শষ্য উৎপাদ বিশেষজ্ঞ বিধু ভুষন রায়, উদ্যান বিশেষজ্ঞ আব্দুল মতিন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মজনুর রহমান, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নীলু, সফল কৃষক জিতেন্দ্র নাথ,বিউটি বেগম, আবুল হোসেন প্রমুখ। প্রবীন সাংবাদিক রবীন্দ্রনাথ রায়, আব্দুল ওয়াহেদ, রেজাউল করিম রেজা, মিজানুর রহমান মিন্টু প্রমূখ। স্ট্রেজ টলারেন্ট রাইস ফর পুওর ফারমারস ইন আফ্রিকা এন্ড সাউথ এশিয়া (স্ট্রাসা) প্রকল্প অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিল এন্ড মিলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এতে আর্থিকভাবে সহায়তা দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্টে তথ্য উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর সেখ হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৬৮৭ কেজি বন্যা ও খরা সহনশীল জাত বীজধান সরবরাহ করা হয়। এতে ৮ হাজার ১৫১জন কৃষক সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে জেলায় ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে এ জাতের ধান আবাদ করা হচ্ছে। এই জাতের ধানবীজ ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত বন্যায় ডুবে থাকার পরও কৃষকরা বিঘা প্রতি ১৭ মন থেকে ২৫মন ধান ঘরে তুলতে পেরে আনন্দিত। কারণ বন্যায় এসব জমিতে ধান এমনিতে নষ্ট হয়ে যেত।  ফলন ছিল ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল। নিশ্চিত লাভ বুঝতে পেরে কৃষকরা এখন ঝুকছে বন্যা সহনশীল ধান চাষে। মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top