সকল মেনু

বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ ভাবে মাছ শিকারের অভিযোগে ৩দিনের মধ্যে নৌবাহিনীর হাতে আরো ৪৪ ভারতীয় জেলে আটক

শওকত আলী বাবু  ,বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ্য ভাবে অনুবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে আবারও ভারতীয় ৪৪ জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। তিন দিনের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় ৩টি ফিসিং ট্রলারসহ আটক ভারতীয় জেলেরা বাগেরহাটের সুন্দরবন উপকুলের ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে মাছ শিকার কালে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতদের মংলা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। একই অপরাধে শুক্রবার রাতে একই এলাকা থেকে মাছ শিকার কালে ২৯ ভারতীয় জেলেকে ২টি ট্রলারসহ আটক করে নৌবাহিনী। অপরদিকে ৩ বছর কারাভোগের পর ভারতে আটক  ১৯ বাংলাদেশী জেলেকে রবিবার রাতে পুশব্যাক করেছে বিএসএফ। এর আগে ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর অনুরুপভাবে বাংলাদেশের  জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকারের অপরাধে আরও ২৬ জেলেকে আটক করা হলেও ভারতীয় দূতাবাসের মধ্যস্ততায় সেসময়ে  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় ।
জানা গেছে, বাগেরহাটের সুন্দরবন উপকূলের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করে মৎস্য আহরণের অভিযোগে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৪ ভারতীয় জেলেকে সোমবার সন্ধ্যায় নৌবাহীন আটক করে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত তাদের মংলা থানায় সোর্পদ করার প্রক্রিয়া চলছিল।
মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, মংলা থেকে ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় অবৈধ্য অনুপ্রবেশ করে দুটি ট্রলারসহ ৪৪জন ভারতীয় জেলে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর টহল জাহাজ তাদের চ্যালেজ্ঞ করে । এসময়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে দুটি ট্রলারসহ আটককৃত  ভারতীয়  জেলেদের ট্রলারসহ মংলা  থানা পুলিশের কাছে  হস্তান্তর করা হবে তিনি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে আটককৃত ২৯ ভারতীয় জেলেকে মংলায় থানায় হস্তান্তরের পর নৌ বাহিনীর পিও এম জাকির হোসেন বাদি হয়ে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগ দায়ের করলে তাদের আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর না হওয়ায় ওসি আটককৃত ভারতীয় জেলেদের নাম জানাতে পারেনি।
অপরদিকে ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর দুটি ট্রলারসহ ২৬ ভারতীয় জেলে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার কালে নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করা হলে ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে তারা মামলা শেষ হবার আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে ছেড়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে ২০১০ সালের ৬ আগস্ট বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় মাছ শিকার কালে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে দুটি ট্রলারসহ ২১ বাংলাদেশী জেলেকে ভারতীয় কোস্টগাড আটক করে। আটককৃত বাংলাদেশী ২১ জেলেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালত ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫১ হাজার ৫শ ভারতীয় রূপী জরিমানা করে। ভারতের আলীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক  থাকা অবস্থায় ২ বাংলাদেশী জেলে মারা যায়। কারাভোগের পর অবশিস্ট ১৯ বাংলাদেশী জেলেকে রবিবার রাতে যশোরের বেনাপোল সিমান্ত দিয়ে বর্ডারগাড বাংলাদেশ পুশব্যাক করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top