সকল মেনু

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান কে হুমকি প্রদানের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন

কুমিল্লা প্রতিনিধি: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ ( সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খানকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়া প্রসঙ্গে গতকাল রোববার দুপুরে কুমিল্লা চেম্বারস কম কর্মাসে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরান খান। সাংবাদিক সম্মেলনে ইমরান জানান, নির্বাচনে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে আমি গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে
গিয়ে আমি নিয়মিত বিভিন্ন হুমকি-ধমকির স্বীকার হচ্ছি। সাংবাদিক সম্মেলনে ইমরান বলেন, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর আমি যেসব নির্বাচনী
এলাকায় গিয়েছি,সেখানেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এ খবর পেয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার পোষ্টার ছিড়ে ফেলছে, আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাদের হয়রানি মূলক মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে। যেমন- সদরের পাচঁথুবী ও কালিরবাজার ইউনিয়নে আমার নির্বাচনী পোষ্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। আমার সাথে যেসব নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদের
তালিকা করা হচ্ছে। তাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাদের বলা হচ্ছে, আমার সাথে ঘুরলে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেয়া হবে। গত ২১ ডিসেম্বর দুর্গাপুর (উত্তর) ইউনিয়নে আমার কয়েকজন কর্মীকে হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সদরের এক প্রার্থী গত ২০ ডিসেম্বর বিকেলে পূবালী চত্ত্বরে দাড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ রেখে ২৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূবালী চত্ত্বরে এনে আমার কর্মীদের চামড়া তুলে ফেলা হবে। এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি, আমার গণসংযোগ বাধাগ্রস্থ করার জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ইমরান আরো বলেন, কুমিল্লাবাসি আমার শক্তি। আমি কুমিল্লাবাসির ভালবাসা ও সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। আশা করি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন আর যারা
সন্ত্রাসবাদের রাজত্ব সৃষ্টি করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিবেন। ইমরান বলেন, আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আফজল খান এড. ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি প্রায় ৬০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসন থেকে তিনি আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও দলীয় নেত্রীর সিদ্ধান্তকে তিনি সম্মান জানিয়েছেন। পরবর্তীতে কুমিল্লাবাসি এবং আমাদের নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি সদর আসন থেকে ’আনারস ’ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। গত ৫ বছরে সদর আসনে চাদাঁবাজি, সন্ত্রাস, চুরি-ছিনতাই ও হত্যা অহরহ ঘটেছে। চাদাঁবাজদের
টাকা না দিলে মানুষ ব্যবসা করতে পারেনি, নতুন ভবন নির্মাণ করতে পারেনি। সরকারি অফিসগুলোতে নিয়মিত নিরব টেন্ডারবাজি হচ্ছে। মানুষ ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারছেনা। কুমিল্লার মানুষ সন্ত্রাস ও চাদাঁবাজদের হাত থেকে মুক্তি পেতে চায়। জনগণের কথা চিন্তা করে এবং জনগণের সমর্থন নিয়েই আমি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করছি। আমি কুমিল্লার প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার পিতা
অসংখ্য কুমিল্লার শিক্ষার উন্নয়নে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন এবং মানুষের সুখ-দুঃখে আমার পরিবার সব সময় ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লাবাসির জন্য আমারও কিছু করার রয়েছে। জনগণ যদি আমাকে সেই সুযোগ দেয় তাহলে কুমিল্লার উন্নয়নে আমি নিজেকে নিবেদিত করব। যদি কুমিল্লার জনগণ আমাকে ভোটে জয়যুক্ত করে তাহলে সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ, মাদকমুক্ত কুমিল্লা গড়ে তুলব। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন, হুমকি-ধমকির বিষয়ে আমি এখনো প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে জানাইনি। তবে আজ অভিযোগ করব। তিনি আরো বলেন, সদর এমপি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার আমার শ্রদ্ধেয় চাচা। তিনি আমার বাবার মত। আমি তাকে সম্মান করি। তিনি ৫ বছর ধরে এমপি। ওই সময়ে তিনি যদি ভাল কাজ করেথাকেন তাহলে জনগণই উনাকে ভোট দিয়ে পাশ করাবে। হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচন আ’লীগের বিরুদ্ধে নয়। জনগণের চাপেই আমি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top