সকল মেনু

শিবিরের তাণ্ডব পাটগ্রামে ;৪৮ মোটরসাইকেলে আগুন

 জেলা প্রতিবেদক, লালমনিরহাট, ১৯ ডিসেম্বর :  সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ৪৮টি মোটরসাইকেলে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বাউরা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগেই এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডারদের ধাওয়া খেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নাজুসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা আত্মরক্ষার জন্য বাউরা ইউনিয়নের নবীনগর বিজিবি ক্যাম্পে অবস্থান নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন, পাটগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন বাবুল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নাজুসহ উপজেলার দলীয় নেতা-কর্মীরা বাউরা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে যোগদান করতে যান। এ সময় অতর্কিতে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ৪৮টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা মতবিনিময় সভার মঞ্চটিও পুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, এই তাণ্ডবে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বাউরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবীবুল হক বসুনীয়া জানান, পুলিশ পাহারায় উপজেলার জোংড়া ন্যাশনাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মতবিনিময় সভা শেষে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন গাড়িবহর নিয়ে বাউরার মতবিনিময় সভায় পৌঁছানোর আগেই  বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা তাণ্ডব চালায়। এতে বেশকিছু মোটরসাইকেল ও মঞ্চসহ স্কুলের একাংশ পুড়ে যায়। এ সময় আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা এদিকে-সেদিক পালাতে গিয়ে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহদের মধ্যে সাতজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম নাজুসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।  এ ব্যাপারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, ‘বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এই হামলায় চালিয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব হোসেন জানান, ‘কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে জামায়াত-বিএনপি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রফিকুল হকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top