সকল মেনু

জগন্নাথ ছাত্রলীগ বিশ্বজিৎ হত্যার রায়ে হতাশ

 ক্যাম্পাস প্রতিবেদক, জবি, ১৮ ডিসেম্বর:  বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায়ে হতাশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)  ছাত্রলীগ।

বুধবার রায়ের সময় পুরান ঢাকার আদালতপাড়ায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। রায়ের পর তাদের অনেককে কাঁদতেও দেখা যায়।

আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আদালতের রায়ের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুকান্ত ব্রহ্ম হতাশা প্রকাশ করে হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, আদালত সুবিচার করেনি। এই রায় সন্তোষজনক নয়।

আমরা মেনে নিতে পারছি না। প্রকৃতপক্ষে যারা দোষী, শুধু তাদের শাস্তি হলে মেনে নেয়া যেত। কিন্তু রায়প্রাপ্তদের বেশিরভাগই হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল না।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের অবরোধের মধ্যে ছাত্রলীগের মিছিল থেকে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যার ওই দৃশ্য টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমে প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। খুনি হিসেবে চিহ্নিতরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের কর্মী হওয়ায় সরকারও বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে পড়ে।

তখন প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছিলেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা ছাত্রলীগের কর্মী নয়, অনুপ্রবেশকারী। একই কথা বলেন পরিবেশ মন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এএইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ তখন বলেছিলেন, চিহ্নিত খুনিরা তার সংগঠন থেকে বিতাড়িত এবং তাদের ধরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করা হবে।

তবে সুকান্ত ব্রহ্ম দাবি করেছেন, দণ্ডিতদের কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী। তবে তারা নির্দোষ। এদের (মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত) মধ্যে দুই-তিন জন ওই দিন ঘটনাস্থলে আসেইনি। তারপরও তাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে।

বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে চাপাতি শাকিলকে ওই দিনের ঘটনার ছবিতে চাপাতি হাতে বিশ্বজিৎকে কোপাতে দেখা যায়।

রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিতে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় শাকিল তার বড় ভাই মাসুদ রানাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, জর্জ কোর্টের ওপর হাই কোর্ট আছে। সেখানে কিছু করার চেষ্টা কইরেন। আর আমার লাইগা চিন্তা কইরেন না। আমার কিছুই অইবনা।

এদিকে একই সময়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আরেক আসামি জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের কারণেই আমাদের এই বিপদ। রায়ে আপনারা খুশিতো? আপনারা খুশি হলেই আমরা খুশি।

দণ্ডিতদের ‘নির্দোষ’ দাবি করে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় সুকান্তের পাশে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিল রহমান খান, প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান শিশির এবং উপ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রুবেল হাওলাদার।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম শরিফুল ইসলাম অনুপস্থিত ছিলেন। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top