সকল মেনু

১৬ ডিসেম্বরের পর নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: হানিফ

 হটনিউজ প্রতিবেদক,১৫ডিসেম্বর,ঢাকা:  আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তেলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক ধৈর্য্য ধরেছি। এখন ধৈর্য্যের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছি। এরপর যদি আর কোথাও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়, তাহলে সেখানেই পাল্টা জবাব দেয়া হবে।

হানিফ আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। আগামীকাল মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যদায় পালনের লক্ষ্যে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বিএনপি-জামায়াত-শিবিরকে নৈরাজ্য বন্ধ করবার আহবান জানিয়ে হানিফ বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন। অন্যথায় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সবাইকে নিয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে দেশব্যাপী হত্যাকাণ্ড ও নৈরাজ্য চালাচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে যেখানেই আঘাত আসবে সেখানেই পাল্টা আঘাত করা হবে।

বিএনপি-জামায়াত দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে চায় বলে অভিযোগ করে হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায়। তারা চায় আমাদের নেতাকর্মীরা যেন তাদের বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়ায়।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আসাদুজ্জামান নূরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে শনিবার তার উপর হামলা চালানো হয়েছিল। হায়েনার নৃশংস ছোবলে বাংলার মাটি রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে। এবার প্রতিরোধ করতে হবে।

আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাদের মোল্লার পক্ষে কথা বলেছেন। এর মানে হচ্ছে জামায়াত-শিবির আর খালেদা জিয়াকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। এরা সবাই আইএসআইয়ের এজেন্ট।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা করছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।

সভায় আগামীকাল বিজয় দিবসের র‌্যালি সফল করার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিজয় দিবসে বিকেল ৩টায় আওয়ামী লীগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর গিয়ে বিজয় র‌্যালি করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top