সকল মেনু

নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন চান বিশেষজ্ঞরা

 আছাদুজ্জামান,হটনিউজ২৪বিডি.কম, ঢাকা:  বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অনেকে বলছেন বিশ্বের ইতিহাসেও এটি হবে নজিরবিহীন। যে নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ১৫১ জন। সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম আসন সংখ্যা এটি। অর্থাৎ ভোট না হলেও নতুন সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ইতিমধ্যে পেয়ে গেছে। যদিও ভোটগ্রহণ হবে ৫ জানুয়ারি।

আইন অনুযায়ী, এভাবে নির্বাচিত হতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এতোগুলো প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হয়ে মহান জাতীয় সংসদে আসবেন অথচ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। জাতীয় সংসদ, যেখানে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে সেখানে তাদের প্রতিনিধিরা ‘অনির্বাচিত’। অর্থাৎ নৈতিকভাবে এদের জনগণের প্রতিনিধি বলা যাচ্ছে না।

সমস্যা রয়েছে আরো: ৩০০ সংসদীয় আসনের ১৫১টি আসনে আইন অনুযায়ী যারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তাদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের কোনো সুযোগ থাকছে না। জনগণ সেই প্রার্থীর ব্যাপারে তাদের মতামত দিতে পারছে না। একে অনেকে ভোটাধিকার হরণের সাথেও তুলনা করছেন। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬ কোটিই তাদের মতামত দিতে পারছেন না। তাহলে দুই তৃতীয়াংশ ভোটার যেখানে তাদের মতামত দেয়ার সুযোগ পেল না, পছন্দ-অপছেন্দের কথা জানাতে পারলো না সেখানে নতুন সরকার কী করে দাবি করবে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনগণের সরকার!

এসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে মূলত চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে। প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে না আসার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন পদ্ধতিরও যে ত্রুটি রয়েছে সে বিষয়টি এখন স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ নির্বাচন পদ্ধতি সত্যিকার জনপ্রতিনিধিত্বমূলক জাতীয় সংসদ উপহার দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই এ ত্রুটি সংশোধন বা নতুন পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে অনেকে নানা বিকল্পের কথা বলছেন যেগুলো অনেক দেশে অনুসরণ করা হয়। অবশ্য সেসব নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার ওপর।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিএনপি সরকারের একতরফা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘ছিয়ানব্বইয়ে ভোটারবিহীন নির্বাচনে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল। সেটা গ্রহণযোগ্য না হলে এটাকে আমরা কীভাবে গ্রহণযোগ্য বলবো।’

এ নির্বাচনকে নজিরবিহীন এবং নির্বাচিত সরকারের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরকম বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো হয়নি। স্মরণকালের ইতিহাসে অন্যান্য জায়গায়ও হয়নি। আইন মোতাবেক, একক প্রার্থী ১৫১ জনকে জনগণের আর ভোট দেয়ার দরকার নেই। সেটা হলে ৯ কোটি ভোটারদের মধ্যে ৬ কোটি তাদের ভোট দিতে পারবেন না। বিদেশ থেকে কোনো অবজারভার আসবে? প্রধান বিরোধী দল না আসাতে এ রকম অবস্থা হয়েছে। এভাবে নির্বাচন করলে সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন আছে বলে দাবি করা যাবে না।’

আইনের ত্রুটির বিষয়টি উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হলেও আইনানুগভাবে ১৫১ জনই জনপ্রতিনিধি। আইন বলবে, সেসব আসনে ১০০ ভাগ জনগণের সমর্থন আছে বলেই কেউ তাদের প্রতিন্দ্বন্দ্বী নেই। ভোটিং সিস্টেমে এটাই আছে।’

প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার সপক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনের বিষয়ে অনেকদিন থেকেই কথা হচ্ছে। প্রফেশনাল রিপ্রেজেন্টেশনে যাবো কি না সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। অনেক দেশে দুই রাউন্ড আছে। ডাবল রাউন্ড বা রিকল সিস্টেম থাকলে এ সমস্যা ওভারকাম করা যায়। তবে বিষয়টি আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা মেনে নেবেন কি না তার ওপর নির্ভর করছে।’

প্রায় একই কথা বললেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ডেমোক্রেসি ওয়াচের প্রধান তালেয়া রেহমান। সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসনে প্রার্থী যখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিনা ভোটে নির্বাচিতই হয়ে যাচ্ছে তখন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা (সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ১৫১ আসন) তো হয়েই গেছে। নির্বাচনের আর কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। বাকি আসনগুলোতে হয়তো ভোট হবে, কিন্তু কারা ইন্টারেস্টেড হবে? জনগণের উৎসাহ কম থাকবে। সরকারতো গঠন একধরনের হয়েই গেছে। সর্বদলীয় নির্বাচন তো আর হলো না।’

বাংলার মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করছেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা বক্তৃতায় এমন কথা বলে বেড়ালেও এ নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক বলতে নারাজ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ তালেয়া রেহমান। তিনি একে প্রহসনের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করছেন। তার ভাষায়, ‘এতোগুলো আসনে ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারলেন না এটা মোটেও গণতান্ত্রিক না। জনগণ ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত হলো। এটা এক ধরনের প্রহসনের নির্বাচন। কীভাবে একে বর্ণনা করবো আমার জানা নেই। কখনো কোনদিন কোনো দেশে এমন হয়নি।’

এক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচন পদ্ধতির কোনো ত্রুটি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আরপিওর অনেক নীতিরই তো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তো নেই। অনেক সহিংসতা চলছে। এখানে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া মানে নির্বাচন গণতান্ত্রিক না হওয়া। একটা সমাধান হতে পারে: পার্টিকে ভোট দিবে মানুষ। যেমনটি শ্রীলঙ্কায় হয়েছিল। পাকিস্তানেও হয়। ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোট হলেও খুব ভালো হতো।’

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘১৫১ আসনে একক প্রার্থী। তার মানে এখন তো সেখানে কাউকে বাছাই করার সুযোগ নেই। এখন গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি ভেঙে গেল। আমাদের পর্যবেক্ষকদের তো আর প্রয়োজন হলো না। এতো বড় কলঙ্ক নিয়ে আমরা কীভাবে সময় কাটাবো।’

এমন ক্ষোভ ও হতাশা ঝরে পড়লো সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়েছি। এটাতো কোনো নির্বাচন না। একতরফা এ নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী আমেজ নেই। ভোটারদের আর ভোটকেন্দ্রে আসার দরকারই নেই। ভোটারদের বঞ্চিত করে কেউ নির্বাচিত হলে তাকে তো জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেনে নিতেই কষ্ট হবে।’

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা রেখেছিল তৎকালীন শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন। এ পদ্ধতিতে একজন প্রার্থীর বিপক্ষে ভোটারের মত জানার সুযোগ থাকে। সাধারণ নিয়মে একজন প্রার্থীকে পছন্দ না হলে একজন ভোটার অন্য প্রার্থীকে বেছে নিতে অথবা ভোটদানে বিরত থাকতে বাধ্য হন। কিন্তু ‘না’ ভোট পদ্ধতিতে প্রার্থীদের প্রত্যাখ্যানের বার্তা জানানোর সুযোগ থাকে। ফলে কোনো প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়েরও এটা একটা ভালো কৌশল বলে মনে করা হয়। অথচ এ পদ্ধতিটা পরে রহিত করা হলো।

অবশ্য নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই সুযোগটি থাকলেও এবারের মতো কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি তখন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে সেভাবে কেউ আর ভাবেওনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসে জনপ্রতিনিধিত্বের বিষয়টি এতোটাই স্পর্শকাতর বিষয়ে পরিণত হলো যে তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে সবাই। জাতীয় সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে যারা নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘যেভাবে চলছে, তাতে তো এ-ই হচ্ছে। আমাদেরকে রেজাল্টের জন্য ওয়েট করতে হবে। এমন হলে গণতন্ত্র কোন দিকে যায় তা বলা মুশকিল। এতোগুলো প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। এতে বেআইনি কিছু নেই, আবার গণতন্ত্রও কোনদিকে যায় সেটাও ভাবার বিষয়।’

ভোট দেয়া জনগণের অধিকার- তেমন কথা সংবিধানের কোথাও উল্লেখ না থাকলেও এটা যে নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার তাতে সন্দেহ নেই। আর বিনা ভোটে নির্বাচিত কোনো সংসদ সদস্যের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার নৈতিক অধিকার রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। এ প্রসঙ্গে ছহুল হোসাইন বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে জনগণের রাইট ডিনাইড হলো কি না দেখা দরকার। যদিও আইন তা বলে না। আমরা সিম্পল মেজরিটি গণতন্ত্রের (নিছক সংখ্যাগরিষ্ঠের গণতন্ত্র) চর্চা করছি। এই অবস্থা দেখে চিন্তা করছি, একটা পরিবর্তন দরকার। কী ধরনের হবে, সেটা আলোচনা সাপেক্ষ। আলোচনা করে দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনের এই অবস্থা দেখে আমিও চিন্তা করছি। নতুন পদ্ধতির কথা ভাবছি। সেটা কী হতে পারে তা এখনো জানি না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে দেখা যায়, কোনো পদ্ধতি বের করা যায় কি না।’

তবে গণতন্ত্র সুসংহত ও জাতীয় সংসদে জনপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে যে পদ্ধতিই অনুসরণ করা হোক তাতে সর্বোপরি রাজনীতিকদের সদিচ্ছা বাঞ্ছনীয়। অনেক বিশেষজ্ঞ অনেক পদ্ধতি বাতলে দেবেন। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্তটা রাজনীতিকরাই নেবেন। যদিও তাদের মধ্যে এ নিয়ে তেমন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘শেখ সাহেবের সময় এমন নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সে সময়ের বিষয়টা এখনকার মতো এতো উলঙ্গ ছিল না। বিজয়ের মাসে এমনটি করে লাখো শহীদের রক্তকে অবমাননা করা হয়েছে। শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। এটা কোনো নির্বাচন নয়।’

নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের দরকার আছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু পদ্ধতি পরিবর্তন করে কী হবে? যারা নির্বাচন পরিচালনা করেন, তারা তো কেউ নিরক্ষর না। পদ্ধতি পরিবর্তনের কিছু লেখা থাকলেই হবে না, এটার প্র্যাকটিস থাকতে হবে।’

বাংলাদেশে নির্বাচনী গণতন্ত্রের বয়স মাত্র এক যুগ। ইউরোপ আমেরিকার উন্নত দেশে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে কয়েকশ বছর লেগেছে। সে হিসেবে বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে অনেক দূর এগিয়েছে -এমন কথা অনেকে বলেন। কিন্তু আধুনিক বিশ্ব যতো দ্রুত বদলে যাচ্ছে তার সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ চলতে পারছে কি না সেটাও ভেবে দেখা দরকার। এখানে পাশ্চাত্যের সঙ্গে তাল রাখতে দ্রুত বদলে যাচ্ছে জীবনযাপন পদ্ধতি। শুধু বদলাচ্ছে না রাজনীতির মানসিকতা ও সংস্কৃতি, শক্ত ভিত নিয়ে গড়ে উঠছে না রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাচ্ছে না গণতন্ত্র।

এদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে স্বয়ং গঠনতন্ত্রই অন্যতম বাধা বলে মনে করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হয়ে কেউ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোট করেন তাহলে তার আসন শূন্য হবে।

এই অনুচ্ছেদটি জাতীয় সংসদে গণতন্ত্রের চর্চাকে রুদ্ধ করেছে বলে মনে করা হয়।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ম্যানুয়ালে বলা আছে- আরপিওর ১ আদেশের অনুচ্ছেদ ১৪ এর অধীন মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর যদি কেবল মাত্র একজন বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী থাকেন অথবা অনুচ্ছেদ ১৬ অনুসারে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কেবলমাত্র একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকেন তাহলে অনুচ্ছেদ ১৯ এর বিধান অনুসরণ করে ওই প্রার্থীকে রিটার্নিং অফিসার গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর কোনো প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধার্যকৃত সময়সীমার মধ্যে আপিল দায়ের না করলে একমাত্র বৈধ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে। অথবা আপিল দায়ের হলে কমিশন কর্তৃক আপিলে প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এই আইনের কারণেই দশম জাতীয় সংসদ সত্যিকার অর্থে জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ আইনটিই পরিবর্তনের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top