সকল মেনু

অসুস্থ এরশাদকে সিএমএইচ এ নেয়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম,১৩ডিসেম্বর,ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে তার বারিধারার বাসা থেকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের একজন শীর্ষ নেতা। এরশাদের বাড়ির সামনে বাবুলকে টানা-হেঁচড়া তবে র‌্যাব দাবি করেছে, অসুস্থ বোধ করায় তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার পর রাজধানীর বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসা থেকে এরশাদকে আটক করা হয়েছে বলে জানান দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তফসিল ঘোষণার পর ৫ জানুয়ারির ভোটে অংশ নেয়ার জন্য ২ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরশাদের পক্ষেও ঢাকা-১৭, লালমনিরহাট-১ ও রংপুর-৩ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। কিন্তু এর পরদিনই এরশাদ এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, বিরোধী দল বিএনপিসহ সব দল না আসায় এবং ‘পরিবেশ না থাকায়’ জাতীয় পার্টি দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না।     নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদেরও পদত্যাগ করতে বলেন এরশাদ।ইতোমধ্যেই জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর আগের রাতেই এরশাদকে ‘আটক’ করা হল। জাতীয় পার্টির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে হটনিউজ২৪বিডি.কমকে রাত ১২টার দিকে বলেন, “প্রেসিডেন্ট পার্ক থেকে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করার পর র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হাবিবুর রহমান হটনিউজ২৪বিডি.কমকে বলেন, “এরশাদ সাহেব বাসায় ছিলেন। তিনি অসুস্থ বোধ করায় সেখানে দায়িত্ব পালনরত আমাদের র‌্যাব সদস্যের জানান। তারপর আমাদের র‌্যাব  সদস্যরা তাকে সিএমএইচে নিয়ে গেছে।”এরশাদকে ‘আটকের’ আগে বৃহস্পতিবার রাতে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধিদল গণভবনে যায়, যা নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, রওশন এরশাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও জিয়াউদ্দিন বাবলু ছিলেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির একজন প্রতিমন্ত্রীও গণভবনে গিয়েছিলেন। এদিকে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাখা জাতীয় পার্টির জন্য ৬০টি আসন রেখেই দশম সংসদ নির্বাচনের আসন বণ্টন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে ঢাকা-১৭ আসন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও রংপুর, কুড়িগ্রাম, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, খুলনা, সাতক্ষীরা, বগুড়া, হবিগঞ্জসহ ৩৩টি জেলার ৬০টি আসন রেখে দেয়া হচ্ছে দলটির জন্য। সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য রেখে ২২৯টি আসন। জাতীয় পার্টির জন্য ৬০টি ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টিকে চারটি, জাসদকে চারটি, তরিকত ফেডারেশনকে দুটি এবং জাতীয় পার্টিকে (জেপি-মঞ্জু) একটি আসন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top