সকল মেনু

অবরোধে বেশি দামে সার বিক্রি

 নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, ১২ ডিসেম্বর: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বেশি দামে ইউরিয়া সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অবরোধে সার সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ইউরিয়া সার বিক্রি করছেন খুচরা সার বিক্রেতারা। গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা ও ৮শ ৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে ৮শ ৯০ মেট্রিক টন। তবে বুধবার পর্যন্ত সার ডিলারদের কাছে ১শ ৬৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ ছিল। উপজেলার মহিশালবাড়ীর কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, খুচরা বিক্রেতারা সারের সংকট রয়েছে বলে সার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছে না। এক পর্যায়ে রাজি হলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ।

উপজেলার নবগ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর ১০ বিঘা জমিতে গম ও ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। এক সপ্তাহ আগে প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার ৭৮০ টাকায় কিনেছি। আর এ সপ্তাহে প্রতি বস্তা ৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছি।

তিনি আরও বলেন, বেশি দাম দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী সার পাওয়া যাচ্ছে না। বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলারদের কাছে গিয়েও ইউরিয়া সার সংগ্রহ করতে পারিনি।

কৃষকরা জানান, ভুট্টা ও গমের  জন্য ইউরিয়া সার জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়ার দাম ১৬ টাকা নির্ধারণ করলেও অবরোধের অজুহাত দেখিয়ে সংকট সৃষ্টি করছে বিক্রেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোদাগাড়ীতে ১০ জন বিসিআইসি, ৫ জন বিআরডিসির ও ৯২ জন খুচরা সার ডিলার রয়েছেন। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন খুচরা সার ডিলার জানান,  বিসিআইসি ও বিআরডিসি ডিলাররা খুচরা ডিলারদের কাছে বেশি দাম নিচ্ছে। এ কারণে তারাও কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. সাইফুল আলম বলেন, মাঠ পর্যায়ে সার বিক্রি মনিটরিং করা হচ্ছে। বেশি দামে ইউরিয়া সার বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ডিলার বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অবরোধের কারণে সময়মতো সারের ট্রাক আসতে না পারায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top