ম্যাগাজিন করার জন্য স্কুলের হেডমাস্টার এর কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক লেখা নেয়ার ব্যাপারে কথা বলতে গেলে সেখানে দেখা হয় স্কুলের পিওন আবুল চাচার সাথে আজাদের। আবুল চাচা আজাদদের এ কাজে কোন সহায়তা লাগলে তা পূরণ করার আশ্বাস দেয়। এদিকে নেতা সোলেমান হুদা ভাইকে ডাকিয়ে বলে অনুষ্ঠানে একজন মুক্তিযোদ্ধা লাগবে যাকে সে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
একদিন আজাদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখা ঠিকমত না লিখতে পারার বলে আমি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখি নাই আমি কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ’র কথা লিখবো। আবুল চাচা বলে আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখছি আমি তোমাকে সাহায্য করবো।
অবশেষে ক্লাবের পক্ষ থেকে আবুল চাচা’কে ঠিক করা হয় সংবর্ধনার জন্য। আবুল চাচা রাজি হয়। কিন্তু আপত্তিটা করে বসে নেতা সোলেমান, সে বলে আমি যেই স্কুলের গভর্নিং বডি’র সভাপতি সেই স্কুলের পিওন হবে বিশেষ অতিথি আর আমি তার পাশে থাকবো প্রধান অতিথি? এটা হতে পারেনা।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানের দিন গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন নেতা সোলেমান। কিন্তু সে যখন স্কুলে ঢুকেন দেখতে পান সেখানে কোন অনুষ্ঠানের বিন্দুমাত্র ছাপ নেই। অন্যদিকে ক্লাবের সব সদস্য’রা মিলে এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে টাকা তুলে তারা একটি হল রুমে আবুল চাচা’কে নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর এর অনুষ্ঠান করে।
নাটকটির চিত্রনাট্য করেছেন ইমেল হক ও আকাশ হোসেন খান। আর রচনা ও পরিচালনায় রয়েছেন ইমেল হক। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী উজ্জ্বল, হাসান আজাদ, অ্যালেন শুভ্র, অরচিতা স্পর্শিয়া, সাগর হুদা প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।