সকল মেনু

অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে মানববন্ধন

 টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:  টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর বাছিরুন নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক সমীরন কুমার বিশ্বাসকে নারী কেলেঙ্কারীর মত অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে বৃহস্পতিবার দুপুরে অবরুদ্ধ করে রাখে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এর প্রতিবাদে ও প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবী বিদ্যালয়ের ক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। এ সংবাদ পেয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সাময়িক বরখাস্ত করার প্রতিশ্র“তি দিয়ে বিকেলে ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করে বিদ্যালয় ত্যাগ করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাছিরুন নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমীরন কুমার বিশ্বাস প্রায় সাড়ে ৪ বছর যাবৎ এ বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। তিনি যোগদান করার পর থেকেই এ বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের উত্যক্ত করার সুত্রপাত দেখা দেয়। তিনি একেরপর এক অপকর্ম করে বিভিন্ন পন্থায় বারবার পার পেয়ে যাওয়ায় তিনি কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেন না।প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলোর মধ্যে রয়েছে, তার গ্রামের বাড়ী দেলদুয়ার উপজেলার পিরোজপুরের জয়া ব্যানার্জী নামের এক নারীকে খন্ডকালীন শিক্ষিকা পদে চাকুরী দিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এ কারণে তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিচার বসাসহ বিদ্যালয়েও বিচার বসে। এর ফলে ওই শিক্ষিকা পারিবারিক চাপে চাকুরী বাদ দিতে বাধ্য হয়। এরপর শিউলী আক্তার নামের এক খন্ডকালীন সহকারী শিক্ষিকাও এই প্রধান শিক্ষকের আপত্তিকর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকুরীচ্যুত হওয়ার মত প্রধান শিক্ষকের বলির শিকার হতে হয় তাকেও। এরপর এই বিদ্যালয়ে চাকুরীতে
যোগদানের প্রায় ২/৩ মাস পর থেকেই প্রধান শিক্ষকের কুপ্রস্তাব পেতে শুরু করেন বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষিকা শান্তনা রাণী ধর। বাধ্য ও প্রধান শিক্ষকের ক্ষোভের শিকার এই সহকারী শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষকের
মানসিক নির্যাতন ও কুপ্রস্তাবের বিষয় উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে লিখিত এক অভিযোগ করেন। এ সংবাদ বিদ্যালয়সহ এলাকায় ছড়িয়ে পরলে জন আক্রোসের শিকার হন প্রধান শিক্ষক। দুপুরে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে পৌছলে এরই প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষিকা ও এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির লক্ষ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে।লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞানের সহকারী
শিক্ষিকা শান্তনা রাণী ধরের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষককের শর্তে রাজি না হওয়ায় বিদ্যালয়ে তার মূল সার্টিফিকেট জমা হয়, ডিজি অফিস তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেসহ তার চাকুরী থাকছেনা বলে ভয় ভতি দেখায় বলে জানান। এ সময় প্রধান শিক্ষক তার চাকুরী রক্ষা করে দেবে বলে ৯০ হাজার টাকা দাবী করেছেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটি সুত্রে জানান যায়, নেতৃবৃন্দ প্রধান শিক্ষককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার চেষ্টা করা স্বত্তেও প্রধান শিক্ষক কমিটির কাছে এ বিষয়ে কিছুই জানান না। এ প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়েই তিনি দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে ও শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে সংবাদ পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশে সংবাদ দেয় বলেও জানান তারা। প্রধান শিক্ষক এ সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং
কমিটি প্রধান শিক্ষক সমীরন কুমার বিশ্বাসকে সাময়িক বরখাস্ত করে। উত্তেজিত এলাকাবাসী জুতার মালা দিয়ে বিদ্যালয় চত্বর অপমান করারসিদ্ধান্ত বন্ধ করতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষককে সাজা প্রদান করেছেন বলে জানান বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফজলুল হক। তবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবী করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমীরন কুমার বিশ্বাস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top