সকল মেনু

রিজভীকে গ্রেপ্তার এ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করেছে

ঢাকা, ৩০ নভেম্বর: ১৮ দলের ডাকা দ্বিতীয় দফা অবরোধ শুরুর আগেই শনিবার ভোরে রুহুল কবীর রিজভী আহমেদকে গ্রেপ্তার এ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করেছে-এই মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর পুলিশের এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন, তাকে গ্রেপ্তারের পর রাজধানীতে বোমাবাজি কমে গেছে।

ঠিক একই ভাষা ব্যবহার করে মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু শনিবার আদলতকে বলেছেন, হুকুমের আসামীদের গ্রেপ্তার করার কারণে সারা দেশে বোমাবাজি ও নাশকতা কমে গেছে। অবরোধেও কোনো প্রকার প্রাণ নেই।

পুলিশ বলছে, চলমান অবরোধ আন্দোলনে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা নেই। বোমার ভয় দেখিয়ে মানুষকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছেনা বিরোধী জোট।

পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সুত্র জানায়, সারাদেশে অবরোধের তেমন কোনো খবর নেই। ঢাকাতে তো পিকেটিং নেই বললেই চলে। রাজধানীতে যেখানে প্রথম অবরোধে ককটেলের ভারি বর্ষণ হয়েছিল, সেখানে দ্বিতীয় দফা অবরোধে হালকা বৃষ্টিও নেই। ঘটেছে মাত্র ১২টি ককটেলের বিস্ফোরণ।

কারণ হিসেবে পুলিশের সুত্রটি আরো জানায়, মূলত কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে মামলা ও রিজভীকে গ্রেপ্তার করার পর দেশজুড়ে নাশকতা কমে গেছে। তাছাড়া যারা ককটেলের যোগান দাতা হিসেবে কাজ করতো তারা আর ঠিকমতো সরবরাহ করতে পারছে না। পুলিশের কঠোর নজরদারি ও দেখামাত্র গুলির নির্দেশ– শব্দ দুটো আতংক হিসেবে কাজ করছে অবরোধকারীদের মধ্যে।

সুত্রটি আরো জানায়, বিএনপি এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় না থাকায় শিবিরের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকে চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। শনিবার সারাদেশে অবরোধ চলাকালে যা দু’একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা শুধু শিবির ও পুলিশের সাথেই হয়েছে।

বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে অবরোধের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শিবিরও আর বেশিদূর এগুতে পারবে না বলে পুলিশ মনে করছে। কারণ হিসেবে পুলিশ সুত্রটি আরো জানায়, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে।

এবিষয়ে সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম  জানান, অবরোধ দেয়া হয়েছে মূলত নেতা কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখার জন্য। নেতা-কর্মীরা কোনোভাবেই মনোবল হারায়নি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এই সরকার আর বেশিদিন নেই। মরার আগে এরকম বারাবাড়ি সকলেই করে। নাশকাতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নিজে অথবা সরকারের অন্য কোনো এজেন্ট এসব অপকর্ম করে বিরোধী জোটকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছেন।

তবে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল ভিন্নমত পোষণ করে  বলেন, আমরা কোনো প্রকার সংঘাত বা নাশকতা চাই না। এছাড়া সরকার এক তরফাভাবে যা করছে সেটাও কাম্য নয়। জনগণের কথা তোয়াক্কা না করার ফলে সমঝোতার আশা একেবারেই ক্ষীণ হয়ে আসছে বলেও তিনি মন্ত্যব্য করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top